বাদাম চাষে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দিল প্রাণ
নাটোর এলাকার চাষিদের উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে উচ্চফলনশীল জাতের বাদাম আবাদ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে ভোগ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণ। এ প্রশিক্ষণে চাষিদের আফলাটক্সিন প্রতিরোধ বিষয়েও ধারণা দেওয়া হয়েছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সম্প্রতি প্রাণের নাটোর অ্যাগ্রো লিমিটেডের কারখানায় প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ উদ্যোগে সহায়তা করছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)। এই কর্মশালায় নাটোরের ৬০ জন কৃষক যোগ দেন।
আফলাটক্সিন এক প্রকার ছত্রাকজনিত বিষক্রিয়া। অ্যাসপারজিলাস ছত্রাকের প্রভাবে এটি উৎপন্ন হয়। আফলাটক্সিনের কারণে বাদামচাষিরা প্রতিবছর আশানুরূপ ফসল উৎপাদন করতে না পারায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন।
কৃষিশিল্পে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান প্রাণের প্রশিক্ষণে আফলাটক্সিন বিষক্রিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি ও মোকাবিলায় সহনশীল জাতের বীজ উদ্ভাবন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
কর্মশালায় প্রাণ অ্যাগ্রো বিজনেস লিমিটেডের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা মাহতাব উদ্দিন বলেন, প্রাণ চাষিদের নানাভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে। এটি কৃষকদের শস্যের উৎপাদন বাড়াতে সাহায্য করবে। প্রাণের অধীনে ছয় হাজার চুক্তিভিত্তিক বাদামচাষি কাজ করছেন।
চলতি মৌসুমে প্রাণ খামারিদের কাছ থেকে প্রায় চার হাজার টন বাদাম সংগ্রহ করবে বলে জানান মাহতাব উদ্দিন।
বাদামে আফলাটক্সিনের প্রভাব কমাতে এ প্রশিক্ষণ বেশ কাজে দেবে বলে মনে করেন প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী চাষিরা।
কর্মশালায় নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. আলহাজ উদ্দিন, বারির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মঞ্জুরুল কাদির ও ড. মুবারক আলী উপস্থিত ছিলেন।