জুলাই থেকে রপ্তানি আয়ের ০.০৩ ভাগ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে

Looks like you've blocked notifications!

আগামী ১ জুলাই থেকে তৈরি পোশাক শিল্পের রপ্তানি আয়ের শতকরা শূন্য দশমিক ০৩ ভাগ সরাসরি শ্রমিক কল্যাণ কেন্দ্রীয় তহবিলে জমা হবে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শতভাগ রাপ্তানিমুখী শিল্প খাত হিসেবে তৈরি পোশাক শিল্পের জন্য গঠিত কেন্দ্রীয় তহবিল পরিচালনা বোর্ডের প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক বলেন, সরকার শ্রম আইনের আলোকে শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের কল্যাণে এই কেন্দ্রীয় তহবিল গঠন করছে। 

বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, সভায় বিজেএমইএ এবং বিকেএমইএর মাধ্যমে শিল্পকারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকদের দ্রুত একটি ডাটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। 

শ্রম আইনের আলোকে শতভাগ রপ্তানিমুখী শিল্প সেক্টরের জন্য বিধি প্রণয়নের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিল্প সেক্টরে কর্মরত সুবিধাভোগীদের জন্য ক্রেতা ও মালিকের সমন্বয়ে সেক্টরভিত্তিক কেন্দ্রীয়ভাবে একটি করে তহবিল গঠন, তহবিল পরিচালনা বোর্ড গঠন, অনুদানের পরিমাণ নির্ধারণ ও আদায়ের পদ্ধতি এবং তহবিলের অর্থের ব্যবহারের বিধানসহ আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় বিধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় তহবিল পরিচালনা বোর্ডের প্রথম সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শ্রমিকদের কল্যাণে এ ধরনের তহবিল গঠন শ্রমবান্ধব সরকারের একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। 

সভায় জানানো হয়, তহবিলে প্রাপ্ত অর্থ দুটি হিসাবের মাধ্যমে শতকরা ৫০ ভাগ সুবিধাভোগী কল্যাণ হিসাব এবং ৫০ ভাগ আপৎকালীন হিসাবে জমা হবে।
 
তহবিলে জমাকৃত অর্থ সুবিধাভোগীদের দুর্ঘটনাজনিত কারণে মৃত্যু বা স্থায়ী অক্ষমতা বা অঙ্গহানি হলে সর্বোচ্চ তিন লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হবে। চাকরিরত অবস্থায় অসুস্থতাজনিত স্থায়ী অক্ষমতার কারণে সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হবে। 

এ ছাড়া এ তহবিল থেকে সুবিধাভোগীদের দীর্ঘমেয়াদি অসুস্থতা, মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান এবং সামাজিক নিরাপত্তামূলক সুবিধা হিসেবে বিশেষায়িত হাসপাতাল স্থাপনে ব্যয় করা হবে। 

গত ৪ এপ্রিল প্রজ্ঞাপন দিয়ে সরকার ৯ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় তহবিল পরিচালনা বোর্ড গঠন করে।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, যুগ্ম সচিব ম আ কাশেম মাসুদ, বিজেএমইর সভাপতি মো. সিদ্দুকুর রহমান, সহসভাপতি মোহাম্মদ নাছির, মাহামুদ হাসান খান, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, সম্মিলিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বেগম নাজমা আক্তার, গার্মেন্টস টেইলার্স ওয়ার্কার্স লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় তহবিল পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সচিব (উপসচিব) মো. আমিনুল ইসলাম সভায় অংশগ্রহণ করেন।