শিক্ষামন্ত্রী বললেন

বাজেটে শিক্ষা খাত পাবে বেশি সহানুভূতি

Looks like you've blocked notifications!
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। ফাইল ছবি

আগামী অর্থবছরের (২০১৫-১৬) বাজেটে শিক্ষা খাতের জন্য বিশেষ ‘সহানুভূতি’ দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘এবারের বাজেটে শিক্ষা খাত একটু বেশি সহানুভূতি পাবে বলে অর্থমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন।’

রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে রোববার ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষায় বিনিয়োগ : প্রাক-বাজেট ভাবনা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।

গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক ও ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এবারের বাজেটে সহানুভূতি আসছে। অর্থমন্ত্রী এ সুযোগ কাজে লাগাতে বলেছেন। এ খাতে বরাদ্দের টাকা খরচ করতে হবে। আমরা আশাবাদী, বরাদ্দের সব টাকাই খরচ করতে পারব। কেননা, এর আগেও আমরা বরাদ্দের ৯৯ শতাংশের ওপরে খরচ করেছি।’

বৈঠকে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

ওই প্রবন্ধে হাসান আহমেদ বলেন, ‘জনসংখ্যা বৃদ্ধি, অর্থনীতির আকার সম্প্রসারণ ও মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মোট বাজেটে টাকার অঙ্কের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও সেই হারে শিক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ছে না। ইউনেস্কোর সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা খাতে বরাদ্দ হওয়া উচিত  জিডিপির ৬ শতাংশ। তবে বাংলাদেশে ২০১৫ সালে শিক্ষা খাতে ব্যয় ছিল জিডিপির ২ দশমিক ২ শতাংশ মাত্র। দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর চেয়ে যা খুবই নগণ্য। শিক্ষা খাতে জিডিপির এই হার আফগানিস্তানে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ, ভুটানে ৫ দশমিক ৬ শতাংশ, নেপালে ৪ দশমিক ১ শতাংশ, ভারতে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ২ দশমিক ৫ শতাংশ।’

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ডা. মোহাম্মদ মুসা।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শফিক আহমেদ সিদ্দিক, নটর ডেম ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ফাদার বেঞ্জামিন কস্তা, পিএসসি ও ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির  পরিচালক ড. শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।