ডিএসই থেকে সরকারের আয়ে ভাটা
দেশের শেয়ারবাজারে কেনাবেচার পরিমাণ কমে যাওয়ায় কয়েক মাস ধরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সরকারের আয়ে। ছয় মাসের ব্যবধানে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে রাজস্ব কমেছে প্রায় তিনগুণ। গত বছরের আগস্ট মাসে ডিএসই থেকে রাজস্ব আহরিত হয় ২৪ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা, যা চলতি বছরের জানুয়ারিতে হয়েছে ৯ কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা।
ডিএসইর দুটি খাত থেকে রাজস্ব সংগ্রহ করা হয়। খাত দুটি হচ্ছে- ডিএসইর সদস্য কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউসগুলো এবং উদ্যোক্তা-পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি বাবদ।
আজ মঙ্গলবার ডিএসই সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারিতে ডিএসইর সদস্য কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে রাজস্ব আহরিত হয়েছে পাঁচ কোটি ৫৬ লাখ ৯৮ হাজার ৪৮৪ টাকা। এ মাসে উদ্যোক্তা-পরিচালক ও প্লেসমেন্ট শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি বাবদ রাজস্ব আহরিত হয়েছে তিন কোটি ৮৮ লাখ ১৬ হাজার ৯৫৫ টাকা। জানুয়ারিতে ডিএসই থেকে মোট রাজস্ব আহরণের পরিমাণ ৯ কোটি ৪৫ লাখ ১৫ হাজার ৪৩৯ টাকা। তবে ডিসেম্বরে এর পরিমাণ ছিল ১১ কোটি ২৯ লাখ এক হাজার ২০৭ টাকা। অর্থাৎ জানিুয়ারিতে রাজস্ব কমেছে ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ।
গত নভেম্বরে ডিএসই থেকে রাজস্ব আহরিত হয় ১৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকা, যা গত অক্টোবরে ছিল ২৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। গত বছরের আগস্টে ডিএসই থেকে রাজস্ব আহরিত হয় ২৪ কোটি ৯৪ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
ডিএসই থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আহরিত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১৫৩ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, যা এর আগের অর্থবছরে ছিল ১২৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ সময় রাজস্ব বেড়েছে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। ২০১১-১২ অর্থবছরে ডিএসই থেকে রাজস্ব আহরিত হয় ২৭১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা, যা ২০১০-১১ অর্থবছরে ছিল ৪৪৭ কোটি ২৮ লাখ টাকা।
প্রসঙ্গত, আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪-এর ৫৩ ধারার আওতায় ডিএসইর লেনদেনের ওপর কর সংগ্রহ করে রাজস্ব খাতে জমা দেওয়া হয়।