নতুন বিনিয়োগে সেবা দেবে সিটিসেল : সিইও

Looks like you've blocked notifications!
সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী মেহবুব চৌধুরী। ছবি : এনটিভি

সিটিসেল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়নি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। বরং বকেয়া টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। 

এদিকে সিটিসেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মেহবুব চৌধুরী জানিয়েছেন, নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে সিটিসেলের গ্রাহকদের সেবা দেওয়া হবে। 

১৯৮৯ সালে বিটিআরসির লাইসেন্স পায় প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড, যা সিটিসেল নামে পরিচিত। এটিই বাংলাদেশের প্রথম ও একমাত্র সিডিএমএ মোবাইল ফোন অপারেটর। তবে গ্রাহকসংখ্যা কমতে কমতে বর্তমানে তা মাত্র সাত লাখ দুই হাজারে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া সিটিসেলের কাছে বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজস্ব বাবদ ৪৭৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা পায় সরকার। 

বিটিআরসি জানিয়েছে, বকেয়া পরিশোধে বারবার সময় দেওয়ার পরেও তা পরিশোধ করেনি সিটিসেল। আর এ কারণে আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত সিটিসেলের গ্রাহকদের বিকল্প সেবা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বিটিআরসি। গতকাল সোমবার এ ব্যাপারে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে।

তবে নিজেদের গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সিটিসেলে প্রধান নির্বাহী মেহবুব চৌধুরী। 

মেহবুব চৌধুরী বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি নতুন বিনিয়োগের মাধ্যমে সরকারের রাজস্বগুলো পরিশোধিত হবে এবং সরকারও একটা নতুন বিনিয়োগ পাবে বাংলাদেশে।

যেটা সবার জন্য মঙ্গলময়।’  তিনি আরো বলেন, ‘সরকারের সব নিয়ম মেনেই, সিটিসেলের গ্রাহকরা তাদের সেবা পাবেন, নতুন বিনিয়োগে।’

এদিকে বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নিব তাদের ব্যাপারে এবং কবে নিব সেটা আমাদের ঠিক করা হয়নি। এজন্য ১৬ তারিখ পর্যন্ত আমরা সময় দিয়েছি। যেসব গ্রাহক তাদের (সিটিসেল) সঙ্গে আছে তারা যেন একটা বিকল্প ব্যবস্থা নেয়।’ 

তবে সিটিসেল বন্ধের আগেই বিটিআরসির এমন পরামর্শ সাংঘর্ষিক নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘কোনো কারণে যদি বন্ধ করে দিতাম তাহলে গ্রাহকরা কোথায় যেত। সেজন্য গ্রাহকদের সময় দেওয়া হয়েছে।’ 

বর্তমানে সিটিসেলের প্রায় ৪৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক সিঙ্গাপুরভিত্তিক সিংটেল এশিয়া প্যাসিফিক। ফার ইস্ট টেলিকম ১৭ দশমিক ৫১ শতাংশ শেয়ারের মালিক। আর প্যাসিফিক মোটরসের হাতে আছে ৩৭ দশমিক ৯৫ শতাংশ মালিকানা।