৬ মাস পর আবারও ডিএসইর লেনদেন ৬০০ কোটি টাকা ছাড়াল
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/13/photo-1431516071.jpg)
দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেন ছয় মাস পর আবারও ৬০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। আজ বুধবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৬৩৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। এর আগে ২০১৪ সালের ১৮ নভেম্বর এ স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছিল ৬২৭ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
বাজারসংশ্লিষ্টদের মতে, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোয় আমানতের সুদহার কয়েক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সুদহার দেড়-দুই শতাংশ পর্যন্ত সরকার কমাতে পারে। পাশাপাশি আসছে বাজেট ঘিরে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে প্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। আর অনুকূল শেয়ারের দামও বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করছে। ফলে শেয়ারবাজারে লেনদেনে ফিরছেন সব ধরনের বিনিয়োগকারী।
আজ দুপুর ১টায় ডিএসইতে ৪১০ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়। এ সময়ে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচকও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ছিল। শেষ দিকে কিছুটা বিক্রয়চাপ সৃষ্টি হলে ইতিবাচকভাবে লেনদেন শেষ হয়।
ডিএসইতে আজ ১৮ কোটি ৭৮ লাখ ৯৩ হাজার ২৩৫টি সিকিউরিটি মোট ৬৩৭ কোটি ৯০ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় লেনদেন হয়। লেনদেন হওয়া ৩০৭টি সিকিউরিটির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫৯টির, কমেছে ১২৫টির এবং অপরিবর্তিত ছিল ২৩টির দাম।
পাঁচ কার্যদিবস পর গতকাল মঙ্গলবার সূচক কিছুটা সংশোধন হলেও আজ আবার চাঙ্গাভাব এসেছে শেয়ারবাজারে। আড়াই ঘণ্টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৯.১৪ পয়েন্ট বেড়ে ৪৩৫৫.৭৫ পয়েন্টে দাঁড়ায়। ওই সময় অন্য দুটি সূচকেরও ঊর্ধ্বগতি দেখা গেছে। এর পর থেকে বিক্রির চাপ বাড়লে ডিএসইএক্স কিছুটা নিম্নগামী হয়ে পড়ে। দিন শেষে আগের দিনের চেয়ে ১৬.০৫ পয়েন্ট বেড়ে সূচকটি দাঁড়িয়েছে ৪৩৪২.৬৬ পয়েন্টে। ডিএসই-৩০ সূচক ১৩ পয়েন্ট ও শরিয়াহ সূচক ৯ পয়েন্ট বেড়েছে।
আজ চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হয়েছে ৫৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। লেনদেন হওয়া ২৪৯টি সিকিউরিটির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ৯৮টির এবং অপরিবর্তিত ছিল সাতটির দাম।সিএসইর সার্বিক সূচক ৫৮.৬৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩৪০২.১৮ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ লেনদেনে এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হচ্ছে- ইউনাইডেট পাওয়ার জেনারেশন, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড, মবিল যমুনা, খুলনা পাওয়ার, বাংলাদেশ সাব মেরিন কেবল, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইফাদ অটোস, সাইফ পাওয়ারটেক ও আরএকে সিরামিক।
দাম বাড়ায় এগিয়ে থাকা ১০টি কোম্পানি হচ্ছে- প্রিমিয়ার সিমেন্ট, মেঘনা সিমেন্ট, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং, আরগন ডেনিমস, ঢাকা ডায়িং, আফতাব অটোমোবাইল, স্টান্ডার্ড সিরামিক, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস, রহিমা ফুড ও খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ।
বেশি দাম হারানো ১০টি কোম্পানি হচ্ছে- অ্যাকটিভ ফাইন, এফএএস ফাইন্যান্স, সমতা লেদার, ইমাম বাটন, ফিনিক্স ফাইন্যান্স প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, প্রথম জনতা মিউচুয়াল ফান্ড, ট্রাস্ট ব্যাংক প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, রিলায়েন্স প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড, রূপালী ব্যাংক, পপুলার প্রথম মিউচুয়াল ফান্ড ও পিএইচপি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড।