মানব পাচার ঠেকাতে বাড়ানো হচ্ছে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/05/19/photo-1432023289.jpg)
কোস্টগার্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধিকরণসহ আটটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৫৯১ কোটি টাকা, যার মধ্যে সরকারি তহবিলের এক হাজার ৫৬৫ কোটি ৫৮ লাখ টাকা ও সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সমুদ্রসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি, মানব পাচার রোধ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে কোস্টগার্ড বহরের ক্ষমতা বাড়াতে ‘এনহ্যান্সমেন্ট অব অপারেশন ক্যাপাবিলিটি অব বাংলাদেশ কোস্টগার্ড’ নামে ৪৬৮ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা জানান। তিনি প্রকল্পগুলোর বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের বিফ্রিং করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, মোট এক হাজার ৫৯১ কোটি আট লাখ টাকা ব্যয়ে আট প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) এক হাজার ৫৬৫ কোটি ৫৮ লাখ এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
কোস্টগার্ডের প্রকল্পটি সম্পর্কে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। বর্তমানে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় আপনারা দেখছেন মানব পাচার সম্পর্কে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এ কারণে কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে এ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, প্রকল্পটিতে ৪৬৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সমুদ্রসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি, মানব পাচার রোধ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধ হবে। এ প্রকল্পের অধীনে জলযান ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহের তালিকায় আছে ইনশোর প্যাট্রেল ভেসেল তিনটি, হাইস্পিট বোট বড় ছয়টি, ভাসমান ক্রেন একটি, অফিস সরঞ্জাম ১৩টি এবং ফার্নিচার ৩৩টি।
অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো : ‘রাজশাহী কল্পনা সিনেমা হল থেকে তালাইমারী পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ১৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘বাবুবর হাট-মতলব পেন্নাই সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের সংশোধন’।
‘গাজীপুর-আজমতপুর-ইটাখোলা সড়কে চরসিন্দুরে শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে ১২০ কোটি টাকা। ‘দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে পানিসম্পদ উন্নয়ন’, যার ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা।
এ ছাড়া কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলাধীন সোনাহাট ব্রিজের কাছে ভুরুঙ্গামারী-মাদারগঞ্জ সড়কপথকে দুধকুমার নদের ভাঙন থেকে রক্ষা এবং কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ থেকে বজরা সিনিয়র মাদ্রাসা পর্যন্ত তিস্তা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা এবং কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ থেকে বজরা সিনিয়র মাদ্রাসা পর্যন্ত তিস্তা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। এর ব্যয় ৫৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকা। সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্প। এর ব্যয় ৪২০ কোটি ৮২ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম জেলার বাঁশখালী উপজেলার পোল্ডার নং ৫৪/১এ, ৬৪/১বি এবং ৬৪/১-সি-এর সমন্বয়ে ক্ষতিগ্রস্ত অংশের স্থায়ী পুনর্বাসন প্রকল্প। এর ব্যয় ২০৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।