শ্রম প্রতিমন্ত্রী জানালেন

২০১৮ সালে অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্সের প্রয়োজন হবে না

Looks like you've blocked notifications!
পুরোনো ছবি

২০১৮ সালে পোশাক কারখানা তদারকি প্রতিষ্ঠান অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের প্রয়োজন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। 

বাংলাদেশর পোশাকশিল্পে সংস্কারবিষয়ক দুটি ক্রেতা জোট হলো  ইউরোপের অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ এবং উত্তর আমেরিকার অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার সেফটি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে পোশাক কারখানা তদারক করার মতো দক্ষ জনবল গড়ে তোলা হচ্ছে। এ জন্য একটি কমিটিও রয়েছে। কমিটির পরামর্শে তারা কাজ করছে। এ জন্য ২০১৮ সাল থেকে অ্যাকর্ড অ্যালায়েন্সের তদারকির প্রয়োজন হবে না। 

এর আগে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের (ইপি) একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

সাক্ষাতের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে ট্রেড ইউনিয়ন চালুর বিষয়ে ইপির প্রতিনিধি দল তাগিদ দিয়েছে। জবাবে তাঁদের বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পোশাক কারখানারগুলোতে এরই মধ্যে ৫২২টি ট্রেড ইউনিয়ন কার্যকর আছে। এ ছাড়া শিল্প-কারখানাগুলোতে সাত হাজার ৫০০টি ট্রেড ইউনিয়ন সক্রিয় রয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী জানান, রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলগুলোতে (ইপিজেড) ট্রেড ইউনিয়ন চালুর কথা বলেছে ইপির প্রতিনিধিদল। জবাবে তাঁদের বলা হয়েছে যে, ভিন্ন নামে হলেও শ্রমিকদের কল্যাণে ইপিজেডগুলোতে সংগঠন আছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেখভাল করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ইপির প্রতিনিধিদল শিশুশ্রম নিয়ে কথা বলেছে। জবাবে তাদের বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মধ্যে কোনো কারখানায় শিশুশ্রমিক থাকবে না। বড় কারখানাগুলোতে এখনই নেই। 

২০২৫ সালে শিশুশ্রমমুক্ত হবে বাংলাদেশ।