স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানা পরিদর্শন করলেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট

Looks like you've blocked notifications!

কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম সামোই রুটো ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেডের কারখানা পরিদর্শন করেছেন। ওই দেশে অবস্থিত এই কারখানা  গতকাল শুক্রবার পরিদর্শন করেন রুটো। স্থানীয় শিল্প ও স্বাস্থ্য খাত এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের উন্নয়নে এই পরিদর্শন বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেডের প্রজেক্ট ডিরেক্টর অঞ্জন কুমার দাসের উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়ে প্রেসিডেন্টের পরিদর্শন শুরু হয়। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন একদল উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা। উল্লেখযোগ্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সুসান ওয়াফুলা নাখুমিচা, শিল্প বাণিজ্য ও বিনিয়োগমন্ত্রী রেবেকা মিয়ান, চিকিৎসাসেবা মন্ত্রণালয়ের ব্যক্তিগত সচিব হেরি কিমটাই, সংসদ সদস্য এলিজাবেথ কাইলেমিয়া, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেডের পরিচালক ইরুকি কাইলেমিয়া, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড লিমিটেডের চিফ ফার্মাসিস্ট মারেতে এনজোকা এবং কেনিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক মুহাম্মদ।

প্রেসিডেন্ট রুটো সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে কেনিয়া স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও অন্য ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফ্যাক্টরি স্থাপনের মাধ্যমে পূর্ব আফ্রিকার প্রায় ৪ কোটি মানুষকে সেবা দেওয়ার এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেডের অত্যাধুনিক ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখেন। কর্মীদের নিষ্ঠা ও একাগ্রতার প্রশংসা করেন তিনি। এ সময় স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের উৎপাদনসংক্রান্ত পানি, বিদ্যুৎ যাতে নিরবচ্ছিন্নভাবে সরবরাহ হয় সে বিষয়ে উপস্থিত মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট। স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের পূর্ব আফ্রিকাতে রপ্তানিতেও যেসব সাহায্য প্রয়োজন, তার দিকে খেয়াল রাখতেও মন্ত্রিপরিষদকে নির্দেশ দেন তিনি।

২০১৮ সালে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়া ইপিজেড প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়। কোভিডের কারণে ফ্যাক্টরি নির্মাণকাজের গতি কমে গেলেও পরে খুব দ্রুত নির্মাণ শেষ হয়। ২০২১ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্যাক্টরিটি কার্যক্রম শুরু করে। এখান থেকে ওষুধ উৎপাদন করে আফ্রিকা ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হয়।