আবারও বেড়েছে গরুর মাংসের দাম, বেড়েছে মুরগিরও
বাজারে কেজিপ্রতি ব্রয়লার মুরগির দাম এখন ২১০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। পিছিয়ে নেই সোনালি মুরগিও। কেজিপ্রতি এই মুরগির দাম ৩১০ টাকা। কয়েকদিন আগেও ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। অন্যদিকে, গরুর মাংসের দাম কমে আসলেও আবার তাতে দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি। ক্রেতারা বলছেন, নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে মুরগি, ভরা শীতের মৌসুম চললেও সবজির বাজারে উত্তাপ রয়েছে। আর মাছ কিনতে গিয়েও ক্রেতাদের যেন নাভিশ্বাস।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মুগদা ও মালিবাগ রেললাইনের পাশের কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি ২১০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩২০, গরুর মাংস কেজি ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কিছুদিন আগে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছিল ৬৫০ টাকায়, কোথাও কোথাও তা ৫৮০ টাকায় নেমে আসে।
কারওয়ান বাজারে আসা ক্রেতা ফয়সাল হোসেন বলেন, ‘গরু মাংসের দাম হঠাৎ ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। নির্বাচন শেষ হতে না হতেই সবকিছুর দাম বেড়ে গেছে। মুরগির দাম বাড়ছে। মুরগিটা নিয়মিত কিনতাম। এখন দেখছি, নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে মুরগি।’
মাছের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছ ২৮০ টাকা, বড় রুই ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, পাঙাস ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০, সিলভার কার্প ১৫০ থেকে ১৮০, কই মাছ ২৪০, পাবদা ৩৫০, শিং মাছ ৪০০, শোল মাছ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এ ছাড়া বাজারে চড়া সবজির দাম। বাজারে শিম ৫০ থেকে ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৫০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মুলা ৩০ টাকা, টমেটো ৪০, আলু নতুন-পুরান ৬০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ৮০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা কেজি, পেপে ৪০, ওল ৪০ টাকা কেজি, লাউ ৯০ টাকা পিস (আকারভেদে কম-বেশি)। এদিকে বাজারে দেশি পেঁয়াজ ৯০ টাকা ও ডিম ১৩৫ টাকা ডজন বিক্রি হতে দেখা গেছে।
কাঁচামাল ব্যবসায়ী কামরুল হোসেন বলেন, দাম কমার লক্ষণ দেখছি না। নতুন সরকারের জন্য বাজার নিয়ন্ত্রন বড় চ্যালেঞ্জের।’