ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচের আওতায় লেনদেন করলে দিতে হবে চার্জ

Looks like you've blocked notifications!
প্রতীকী ছবি, পিক্সাবে থেকে নেওয়া

ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশের (এনপিএসবি) আওতায় এক ব্যাংকের এটিএম কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাংকের বুথ থেকে টাকা তুলতে লেনদেন প্রতি ভ্যাটসহ সার্ভিস চার্জ ২০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন এনপিএসবির আওতায় এসব লেনদেনে কোনও চার্জ ছিল না।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। যা আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

যে ব্যাংকের এটিএম ব্যবহার করে লেনদেন করা হচ্ছে, সেই ব্যাংক পাবে এই ২০ টাকা। তবে গ্রাহকের কাছ থেকে ভ্যাটসহ সর্বোচ্চ আদায় করা যাবে ১৫ টাকা। বাকি চার্জ কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক পরিশোধ করবে। তবে লেনদেনের সার্ভিজ চার্জ বাবদ আলোচ্য সম্পূর্ণ অর্থ কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক তার গ্রাহকদের নিকট থেকে আদায় করতে পারবে।

অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে কত টাকা জমা আছে তা জানতে ও ক্ষুদ্র আকারের বিবরণী নিতে ভ্যাটসহ পাঁচ টাকা করে সার্ভিস চাজ দিতে হবে কার্ডধারীকে। তহবিল স্থানান্তরের জন্য দিতে হবে ১০ টাকা।

এনপিএসবির আওতায় পয়েন্ট অব সেলস (পিওএস) মেশিন ব্যবহার করে নগদ টাকা তুললেই কেবল কার্ডধারীর কাছ থেকে সার্ভিস চার্জ আদায় করা যাবে। এক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ ভ্যাটসহ ২০ টাকা।

এ ছাড়া পিওএস মেশিন ব্যবহার করে কেনাকাটা করা বা তহবিল স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের সার্ভিস চার্জ কার্ডধারীর কাছ থেকে আদায় করা যাবে না। এক্ষেত্রে যে ধরনের সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য হবে তা কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংক পরিশোধ করবে।

ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে এক ব্যাংকের হিসাব থেকে অন্য ব্যাংকের হিসাবে তহবিল স্থানান্তর করলে ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ গ্রাহকের কাছ থেকে আদায় করাতে পারবে ইস্যুকারী ব্যাংক।

এনপিএসবি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সরকারি কোনো সেবা গ্রহণের বিপরীতে পিওএস মেশিনে টাকা পরিশোধ করতে কিছু ক্ষেত্রে অন্য ব্যাংকের কার্ডধারীদের সার্ভিস চার্জ দিতে হবে না। আবার কিছু ক্ষেত্রে ২০ টাকা বা তার বেশিও সার্ভিস চার্জ আরোপ করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্ত্বাবধায়নে পরিচালিত কার্ড নেটওয়ার্ক এনপিএসবি চালু হয় ২০১২ সালে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে প্রথম এক ব্যাংকের গ্রাহক অন্য ব্যাংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে লেনদেনের সুযোগ পায়। এর আগে কেবল ভিসা, মাস্টারকার্ড, অমনিবাস, কিউক্যাস নামের কয়েকটি আন্তর্জাতিক ও দেশীয় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে এক ব্যাংকের কার্ড দিয়ে অন্য ব্যাংকের নেটওয়ার্ক থেকে টাকা লেনদেনের সুযোগ ছিল। সেখানেও ভিন্ন ভিন্ন ধরনের সার্ভিস চার্জ প্রযোজ্য রয়েছে।