এভারকেয়ার হসপিটালে হেডইনজুরি মতবিনিময় অনুষ্ঠিত
রাজধানীর এভারকেয়ার হসপিটালে অনুষ্ঠিত হলো হেডইনজুরি (মাথার আঘাত) সচেতনতা বিষয়ক একটি পেশেন্ট ফোরাম। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) হেডইনজুরি নিয়ে বিভিন্ন তথ্যবহুল আলোচনা ও মতবিনিময় করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতা নিয়ে কর্মরত চিকিৎসকরা নিজ নিজ দক্ষতাও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। পেশেন্ট ফোরামে হেড ইনজুরির কারণ ও করণীয় এবং কীভাবে তা রোগীর জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে এসব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়, যেখানে সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন চিকিৎসকবৃন্দ।
পেশেন্ট ফোরামটি বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে এভারকেয়ারহসপিটালের প্রচেষ্টার একটি অংশ। পেশেন্ট ফোরামে উপস্থিত ছিলেন এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ডা. মো. জিল্লুর রহমান, নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট প্রফেসর (কর্নেল) ডা. মু. আমিনুল ইসলাম, নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. মো. আলিউজ্জামান জোয়ার্দার, এভারকেয়ার হসপিটালস বাংলাদেশের এমডি ও সিইও ডা. রত্নদীপ চাষ্কার এবং মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ প্রমুখ।
এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকার নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর ডা. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, “হেড ইনজুরি প্রতিরোধে সবাইকে প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে। এর মাধ্যমে আঘাতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে এবং প্রত্যেকের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে বলে আমার বিশ্বাস।”
নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট প্রফেসর (কর্নেল) ডা. মু. আমিনুল ইসলাম বলেন, “নিউরোসার্জিকাল সেবার গুণগতমান নিশ্চিত করা কেবল মাত্র দায়িত্ব ও কর্তব্য নয় বরং প্রতিশ্রুতিও। এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকায় আমরা নিউরোলজিক্যাল (স্নায়বিক) স্বাস্থ্যসেবাকে এগিয়ে নিতে এবং রোগীদের সর্বোচ্চমানের যত্ন এবং সেবা প্রদান করতে সবর্দা সচেষ্ট।”
নিউরোসার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্টডা মো. আলিউজ্জামান জোয়ার্দার বলেন, “হেড ইনজুরি একটি সেনসিটিভ বিষয় তাই তাৎক্ষণিক চিকিৎসার প্রয়োজন। তাই ডাক্তার ও জনসাধারণকে এর প্রতিরোধে একসাথে কাজ করতে হবে। সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রোগীদের জন্য আরো নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব।”
এভারকেয়ার হসপিটালস, বাংলাদেশ-এর মেডিকেল সার্ভিসেসের ডিরেক্টর ডা. আরিফ মাহমুদ স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে এভারকেয়ার হসপিটালের নিষ্ঠার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, “আপনারা জানেন, এই ধরনের আঘাত খেলাধুলা, দুর্ঘটনা ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে, যা ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার উপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে। একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর সমাজ গড়ে তোলার প্রত্যয়ে আজকের এই ফোরামটি আয়োজন করেছি এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌছাতেপারব বলে আমি আশাবাদী।” এভারকেয়ার হসপিটালঢাকা সম্পর্কে- দেশের প্রথম হাসপাতাল হিসেবে টানা ছয়বার জয়েন্ট কমিশন ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই)স্বীকৃত হয়েছে এভারকেয়ার হসপিটাল ঢাকা। এখানে রয়েছে ৪২৫ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-ডিসিপ্লিনারিসুপার-স্পেশালিটি টারশিয়ারি কেয়ার ইউনিট, যেখানে অত্যাধুনিক চিকিৎসা, অস্ত্রোপচারএবং ডায়াগনস্টিক সুবিধাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হয়। চার লাখ ৩৫ হাজারবর্গফুট জায়গার ওপর নির্মিত হাসপাতালটি রোগীদের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্নচিকিৎসা সেবা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থেকে সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিত করে আসছে।