প্রবাসী আয় বেড়েছে ৬৯ শতাংশ
বৈধ পথে অর্থ পাঠানোর প্রবণতা বাড়ায় দেশে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স বেড়েছে। এতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভেও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। চলতি সেপ্টেম্বরের প্রথম ২৫ দিনে (১ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৯ কোটি ৪০ মার্কিন ডলার। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য তথ্য জানা গেছে।
জানা যায়, আগের বছরের (২০২৩ সাল) সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২৫ দিনে প্রবাসী আয় এসেছিল ১১৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। আর চলতি বছরের (২০২৪ সাল) সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম ২৫ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ১৯৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সেই হিসেবে এই সময়ের মধ্যে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৮১ কোটি ৮০ লাখ ডলার বা ৬৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
আগের বছরের ১ জুলাই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্ষন্ত প্রবাসী আয় এসেছিল ৪৭৪ কোটি ৮০ লাখ ডলার। আর চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্ষন্ত প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ৬১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। এই সময়ের মধ্যে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ২৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। অপরদিকে চলতি সেপ্টেম্বরের ২৫ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসেবে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৪ দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার। আইএমএফের বিপিএম-৬ হিসাবমান অনুযায়ী ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে রিজার্ভ দাঁড়ায় ১৯ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন ডলার। যেখানে ১৮ সেপ্টেম্বর গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৪ দশমিক ৫২ বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৯ দশমিক ৩৮ বিলিয়ন। সেই হিসাবে রিজার্ভ বেড়েছে।
প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধিতে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের পরিমাণ বেড়েছে জানিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে সচেতনতা বাড়ানোর কারনে এখন হুন্ডি বা অবৈধভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রবণতা কমেছে। এতে বর্তমানে প্রবাসী আয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
আগের বছরের (২০২৩ সাল) সেপ্টেম্বরের প্রথম ২৫ দিনের তুলনায় চলতি বছরের (২০২৪ সাল) সেপ্টেম্বরের একই সময়ে প্রবাসী আয়ের প্রবদ্ধি ৬৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ জানিয়ে হুসনে আরা শিখা বলেন, অর্থ পাচার পুরোপুরি বন্ধ করা গেলে এই প্রবাসী আয় আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার এবং আগস্টে ২২২ কোটি ৪৫ লাখ ৫০ হাজার ডলার এসেছে। আগের বছরের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।