ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা পর্যালোচনা করা হচ্ছে : গভর্নর

ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
আজ মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাজধানীর ইস্কাটনে ব্যাংক খাতের পুনরুদ্ধারের পথযাত্রা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘গৃহিণী, স্ত্রী ও মেয়েকে ব্যাংকের পরিচালক হিসেবে বসিয়ে দিচ্ছি। তাদের যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নেই। আমরা এসব চাই না। ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার জন্য অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা পরীক্ষা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
ব্যাংকের পরিচালক হওয়ার গুণাবলি থাকতে হবে উল্লেখ করে আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘যারা এখন পরিচালক আছেন, তারাসহ সবাইকে এই যাচাই বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। ব্যাংকের মালিকদেরও এই যাচাই বাছাইয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। যোগ্যতা থাকলে মালিকেরা পরিচালক হবেন, যোগ্যতা না থাকলে হবেন না। সিটি ব্যাংক-এনএর মালিক কারা, তা কেউ জানেন না।’
ব্যবসায়ীরা চাপ দিলেই যে সুদহার কমিয়ে দেব তা হবে না বলেও জানান গভর্নর।
গভর্নর বলেন, ‘আমি চাই পলিসি রেট বাস্তবিক অর্থে ইতিবাচক হোক। একেবারেই না হলে মূল্যস্ফীতি দ্রুত কমবে না। বাস্তবিক অর্থে ইতিবাচক হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, ভারতকে দেখুন সব জায়গাতে উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক নীতি সুদহার আছে। আমাকে ওইটাতে আনতে হবে। আমি এখনও ওইখানে যাইনি। তবে সুদহার কাঠামো ও মূল্যস্ফীতি সঠিক দিকে আগাচ্ছে। সময়মতো এটা অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আমাদের তাড়াহুড়োর দরকার নেই। আমাকে ব্যবসায়ীরা চাপ দিলেই সুদহার কমিয়ে দেব তা হবে না। মূল্যস্ফীতি, ট্রেজারি বিল, ইন্টারেস্ট পলিসি সব রেট কমবে, তখন আমি পলিসি রেট আস্তে আস্তে কমাবো, এর আগে না।’
আর্থিক খাতকে নতুনভাবে গড়ে তুলতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংককে শক্তিশালী করার কাজ জোরেশোরে চলছে। প্রধান উপদেষ্টা এ বিষয়ে আগ্রহী। তিনি বলেন, ‘আমরা চলতি বছরের জুলাই-আগস্টের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চাই। আমরা এর ভিত মজবুত করতে চেষ্টা করব, তবে সব সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকার করতে পারবে না। যখন পরবর্তী সরকার ক্ষমতায় আসবে, তখনও এই সংস্কার প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।’