ঈদ ঘিরে প্রবাসী আয়ে সুখবর, দেশে এলো ২৪৩ কোটি ডলার

পবিত্র রমজানে প্রবাসী আয়ের পালে লেগেছে হাওয়া। সেই হাওয়ায় এবারে দেশে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। চলতি বছরের মার্চের প্রথম ২২ দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ২৪৩ কোটি ৭৫ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার। মার্চের প্রথম ২২ দিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে ১১ কোটি সাত লাখ ৯৯ হাজার ৯০ মার্কিন ডলার। গত বছরের একই সময়ে তুলনায় চলতি মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৭১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। রোববার (২৩ মার্চ) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের বছরের (২০২৪ সাল) মার্চে প্রবাসী আয় এসেছিল ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার। আর মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ছয় কোটি ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৬১২ ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে চলতি মাসে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় বেড়েছে চার কোটি ৬৩ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৮ ডলার বা ৭১ দশমিক ৯৯ শতাংশ। অন্যদিকে চলতি বছরের গত ফেব্রুয়ারিতে প্রবাসী আয় এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ৯ কোটি দুই লাখ ৭২ হাজার ৮৫৭ ডলার।
চলতি মার্চের প্রথম ২২ দিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে ১৭০ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫২ কোটি ৭৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৯ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ডলার।
দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে মার্চের প্রথম ২২ দিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় ৪০ কোটি সাত লাখ ডলার এসেছে। প্রবাসী আয় আসার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৯২ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এরপর জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ১৭ কোটি ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার, ট্রাস্ট ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪ কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং সিটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৪ কোটি এক লাখ ডলার এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১৮ কোটি ৫২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৫২ কোটি ৭৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার। গত বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কোটি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার, মার্চে ১৯৯ কোটি ৭০ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার, মে মাসে ২২৫ কোটি ৪৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জুনে ২৫৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার, আগস্টে ২২১ কোটি ৫৮ লাখ ৮০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ১০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ২১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার ডলার এবং ডিসেম্বরে ২৬৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলার এসেছিল।
আগের বছরের (২০২৩ সাল) ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার এবং জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল।