এপ্রিলের পাঁচদিনে প্রবাসী আয় দেড় হাজার কোটি টাকা

ঈদের পর এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ১১ কোটি ৯১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। যা দেশীয় মুদ্রায় দাঁড়ায় এক হাজার ৪৪৮ কোটি ৭৫ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা (প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৫৫ পয়সা হিসেবে)। আজ সোমবার (৭ এপ্রিল) প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
জানা যায়, পবিত্র রমজানে প্রবাসী আয়ের পালে লেগেছিল হাওয়া। সেই হাওয়ায় গত মার্চ মাসে দেশে রেকর্ড পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছে। কিন্তু এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিন প্রবাসী আয় কম এসেছে। কারণ পবিত্র ঈদুল ফিতরের টানা ছুটি ছিল ৯দিন। এর মধ্যে এপ্রিলের পাঁচদিনও ছিল। ফলে এই পাঁচ দিনে প্রবাসী আয়ে ভাটা পড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছরের এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছে দুই কোটি ৩৮ লাখ ৩৮ হাজার ডলার। আগের বছরের (২০২৪ সাল) এপ্রিলে প্রবাসী আয় এসেছিল ২০৪ কোটি ৪২ লাখ ৩০ হাজার ডলার। আর মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ছয় কোটি ৮১ লাখ ৪১ হাজার ডলার। এই সময়ের ব্যবধানে চলতি মাসের প্রথম পাঁচদিনে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় কমেছে চার কোটি ৪৩ লাখ তিন হাজার বা ৬৫ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ। অন্যদিকে চলতি বছরের মার্চে প্রবাসী আয় এসেছিল ৩২৯ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার। মাসটিতে দৈনিক গড়ে প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল ১০ কোটি ৬৩ লাখ ১০ হাজার ৬৪৫ ডলার।
চলতি এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিনে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে প্রবাসী আয় এসেছে সাত কোটি ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার। রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে এক কোটি ৮০ লাখ ১০ হাজার ডলার এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দুই কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে দেশে কোনো প্রবাসী আয় আসেনি।
দেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে এপ্রিলের প্রথম পাঁচদিনে একক ব্যাংক হিসেবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। ব্যাংকটির মাধ্যমে প্রবাসী আয় চার কোটি সাত লাখ ৬০ হাজার ডলার এসেছে। প্রবাসী আয় আসার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক। ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে দুই কোটি ৬৩ লাখ ৮০ হাজার ডলার। এরপর ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে এক কোটি ৮৩ লাখ ৯০ হাজার ডলার, সিটি ব্যাংকের এক কোটি ১০ লাখ ৪০ হাজার ডলার, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯৫ লাখ ৩০ হাজার ডলার, জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৫৯ লাখ ৪০ হাজার ডলার এবং অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ২৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার এসেছে।