অনুমতি ছাড়াই ঢাবিতে মোবাইল কোর্ট, তিনজনকে জরিমানা

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট। ফাইল ছবি

প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরীনা নাজনীন তাদের জরিমানা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ।

আজ সোমবার রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের (আইএমএল) সামনে এই ঘটনা ঘটে। এ সময় ক্যাম্পাসে অভিযান নিয়ে ক্ষুব্ধ হন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

জরিমানাকৃত ওই তিনজনের নাম তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তাঁরা এসে দেখেন রাত ৮টার দিকে ওই ম্যাজিস্ট্রেট ক্যাম্পাসে আইএমএলের সামনে আসে। এ সময় আইএমএলের সামনে কয়েকজন অবস্থান নিলে তাদের জরিমানা করে। কাদের জরিমানা করা হয় তাঁরা জানেন না। এ সময় যাদের জরিমানা করা হয় তাদের সঙ্গে ওই ম্যাজিস্ট্রেটের বাকবিতণ্ডা হয়। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি ছাড়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করায় ক্ষুব্ধ হন।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তারা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনুমতি ছাড়া কেন এলেন এই প্রশ্ন করলে জবাব না দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

অভিযোগের বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেরীনা নাজনীন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, আমি সারা দিন শাহবাগ এলাকায় কাজ করেছি। আর ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলো সিটি করপোরেশনের। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয় হঠাৎ। শাহবাগ থেকে ফেরার সময় কয়েকজনকে দেখি মাস্ক ছাড়া। এজন্য তাদের মাস্ক পরতে বললে কয়েকজন পরেনি। তাই তিনজনকে সামান্য (২০০ টাকা) জরিমানা করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ক্যাম্পাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, আমাদের মন্ত্রিসভা থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর এসব কিছু মন্ত্রিসভার আন্ডারে। তাছাড়া, আমি যেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা না। সেটি রাস্তার মধ্যে এবং এই রাস্তাগুলো সিটি করপোরেশনের অধীন।

কাউন্সিলর আসাদুজ্জামান আসাদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, তার সহকারী আমাকে কল দিলে আমি আসি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়েছে কিনা আমি শুনিনি, জানি না। জরিমানার বিষয়েও কিছু জানি না।

ক্যাম্পাসে এসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ক্যাম্পাসে এলে তাদের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল। তিনি যে ক্যাম্পাসে আসছেন সেটা আমি জানি না। কাউকে জানানো হয়নি। তাছাড়া, কাদের জরিমানা করেছেন সেটিও আমাদের জানানো হয়নি।