অর্থ আত্মসাতের মামলায় ঢাবির কর্মকর্তা ও অফিস সহায়ক গ্রেপ্তার
অর্থ আত্মসাতের মামলায় আজ মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের এক কর্মকর্তা এবং একজন অফিস সহায়ক। আজ মঙ্গলবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুত হাওলাদার।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন ফার্মেসি অনুষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন ও অফিস সহায়ক মো. সুজন।
ওসি মওদুত হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের কাছে মামলা করা হলে সেটি দুদকে দেই। দুদক তাদের আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। আগামীকাল বুধবার তাদেরকে আদালতে নেওয়া হবে এবং জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি অনুষদের নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংক শাখায় উন্নয়ন তহবিল (হিসাব নম্বর ০২০০০০০৯৪৭৬৭৪) ও অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (হিসাব নম্বর ২০০০০৯৩৭৯৫৬৫) দুটি হিসাব থেকে গত দুই বছরে প্রায় ২০ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে, যার কোনো তথ্য অনুষদের নথিতে নেই। আর্থিক লেনদেনের তথ্য বিবরণী বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে দেখা যায়, অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমান স্বাক্ষরিত আনুমানিক ২০টি চেকে বিভিন্ন সময়ে এ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে অধ্যাপক আব্দুর রহমান অভিযুক্তদের সন্দেহ করে ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন এবং তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন।
পরে গত বছরের জানুয়ারিতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দেয় সিন্ডিকেট। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অর্থ কারচুপির মামলা করা হয়। এই মামলায় গ্রেপ্তার হন অভিযুক্ত সাজ্জাদ ও সুজন।
তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. আব্দুর রহমানের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত করি। এতে আমাদেরও কিছু বিষয়ে সন্দেহ হয়। কিন্তু সুস্পষ্ট কোনো তথ্য প্রমাণ আমরা পাইনি। যেহেতু তাদের দুজনেরই আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে সরাসরি সংশ্লিষ্টতা ছিল, তাই সন্দেহের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের সুপারিশ দিয়ে প্রতিবেদন জমা দেই। সে অনুসারে ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে এক সিন্ডিকেট মিটিংয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি পায় অনুষদ। তাই অনুষদ বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে এবং এই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।’