আকবরের রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে জবিতে মানববন্ধন

Looks like you've blocked notifications!
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকবর হোসাইন খান রাব্বির রহস্যজনক মৃত্যুর দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি : এনটিভি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ১২তম আবর্তনের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মো. আকবর হোসাইন খান রাব্বির রহস্যজনক মৃত্যুর দ্রুত সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীর ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি একাত্মতা প্রকাশ করে বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষক, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমরা খুবই ব্যথিত কণ্ঠে বলতে চাই, আমাদের সহপাঠীর সঙ্গে খুব অন্যায় হয়েছে। তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের একজন সহপাঠীর এমন রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

মানববন্ধন থেকে দ্রুত সঠিক তদন্ত ও দোষীদের বিচার না হলে অনতিবিলম্বে কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। 

মানববন্ধনে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আকবরের মতো আমরা একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে হারিয়েছি। অতি দ্রুত তাঁর মৃত্যুর রহস্য যাতে উদঘাটন হয় এবং দোষীরা যাতে শাস্তি পায়, সে দাবি জানাচ্ছি। একইসঙ্গে তাঁর সহপাঠীদের অনুরোধ করবো তাঁরা যেন আকবরের পরিবারের খোঁজখবর রাখেন।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন এটা পিবিআই তদন্ত করেছে। পিবিআই থেকে এখন সিআইডির কাছে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। তবে আকবরের পরিবার থেকে আবেদন দেওয়া হয়েছে যেন পিবিআই বিষয়টি তদন্ত করে। আমরা আশা করি আকবর হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত হবে।’

গত ২৭ আগস্ট আকবর পুরান ঢাকার মেস থেকে বেরিয়ে যান ও তাঁর সহপাঠীরা বিভিন্ন সময় ফোনে যোগাযোগ করলে আশেপাশে আছে বলে জানায়। সর্বশেষ রাত ৮টা ৩৭ মিনিটে যখন আকবরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় সে তাঁর বড় বোনকে জানান যে একটু পর বাসায় ফিরবে। এরপর রাত ৮টা ৫৩ মিনিটে জানা যায় আকবরকে চট্টগ্রামের একটি ফ্লাইওভার নিচে কে বা কারা ফেলে দিয়েছে এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে অজ্ঞান ও আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ সময় তাঁর কোমরের বামপাশে ভোতা অস্ত্র দিয়ে গভীর এক ক্ষত ছিল। ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ায় তাঁর ব্রেইন অনেকাংশে থেতলে যায়। ব্রেইনে রক্তক্ষরণ হয়ে টানা পাঁচ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিউতে জীবন মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ করে গত ১ সেপ্টেম্বর ভোরে আকবরের মৃত্যু হয়।