আজ শুরু প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা, মানতে হবে নির্দেশনা

Looks like you've blocked notifications!
ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা ২০২০-এর লিখিত পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আজ। বেলা ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। তিন ধাপের এ নিয়োগ পরীক্ষার প্রথম ধাপে আজ ২২ জেলার প্রার্থীরা অংশ নেবেন।

জানা গেছে, আজ ১৪টি জেলার সব উপজেলা এবং আটটি জেলার কয়েকটি উপজেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় ধাপে ২০ মে ৩০ জেলায় এবং ৩ জুন তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৩১টি জেলায়।

পরীক্ষার্থীদের আসন গ্রহণসহ বেশ কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো :

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য এ প্রবেশপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে।

পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগে প্রার্থীকে নির্ধারিত আসন গ্রহণ করতে হবে এবং পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।

প্রবেশপত্র ব্যতিরেকে কোনো পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনো বই, উত্তরপত্র, নোট বা অন্য কোনো কাগজপত্র, ক্যালকুলেটর, মোবাইল ফোন, ভ্যানিটি ব্যাগ, পার্স, হাতঘড়ি বা খড়ি জাতীয় বস্তু, ইলেকট্রনিক্স হাত ঘড়ি বা যেকোনো ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, যোগাযোগ যন্ত্র বা এই জাতীয় বস্তু সঙ্গে নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যদি কোনো পরীক্ষার্থী উল্লিখিত দ্রব্যাদি সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করে, তবে তাঁকে তাৎক্ষণিক বহিষ্কারসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা কক্ষে অবস্থানের সময় অবশ্যই উভয় কান উন্মুক্ত রাখতে হবে।

আবেদনপত্রে পরীক্ষার্থীর প্রদত্ত ছবি হাজিরা শিটে থাকবে এবং ইনভিজিলেটর এই ছবি দিয়ে পরীক্ষার্থীকে যাচাই করবেন। ভুয়া পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আবেদনপত্রে প্রার্থীর দেওয়া স্বাক্ষরের সঙ্গে পরীক্ষার হাজিরা শিটে এবং ওএমআর শিটে দেওয়া স্বাক্ষরসহ সব তথ্যে মিল থাকতে হবে।

ওএমআর ফরমের উপরিভাগের নির্ধারিত সব টেক্সট বক্স নির্দেশনা অনুযায়ী পূরণ করতে হবে, অন্যথায় উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

চূড়ান্ত ফলাফলে প্রতিটি উপজেলা/শিক্ষা থানার জন্য নিয়োগযোগ্য মেধাতালিকা ছাড়া কোনো অপেক্ষমাণ তালিকা/প্যানেল প্রস্তুত করা হবে না।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করা হবে না। এ ছাড়া পরীক্ষার সব তথ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

আরও নির্দেশনায় আছে :

পরীক্ষার্থীকে উত্তরপত্রে অবশ্যই কালো বল পয়েন্ট কলম ব্যবহার করতে হবে।

একজন পরীক্ষার্থীর জন্য ওএমআর ফরমের সেট কোড পূর্বনির্ধারিত থাকবে, পরীক্ষার্থীর জন্য নির্ধারিত ওএমআর ফরমের সেট কোডটি প্রবেশপত্রে উল্লেখ করা আছে।

পরীক্ষার হলে যে ওএমআর ফরমটি দেওয়া হবে, সেখানে সেট কোডের ঘরে প্রবেশপত্রে উল্লিখিত কোডটির বিপরীতে বৃত্ত ভরাট করতে হবে।

পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের সেট কোডগুলো এবং ওএমআর ফরমের সেট কোড ভিন্ন হবে। পরীক্ষার্থীর ওএমআর সেট কোড এর বিপরীতে কোন সেট কোডের প্রশ্ন পাবেন, তা পরীক্ষা শুরু হওয়ার পাঁচ মিনিট আগে কক্ষ পরিদর্শক জানিয়ে দেবেন।

প্রবেশপত্রে নির্ধারিত ওএমআর-এর সেট কোড ছাড়া অন্য সেট কোডে পরীক্ষা দিলে উত্তরটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

রোল বা সেট কোডের বৃত্ত পূরণে কোনো ভুল হলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

হাজিরা শিটের সঠিক স্থানে পরীক্ষার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে এবং হাজিরা বৃত্তটি পূরণ করতে হবে। তা না হলে উত্তরপত্রটি বাতিল বলে গণ্য হবে।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন নানা তথ্য দেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৬৫ হাজার ৫৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে এবারের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছেন ১৩ লাখ ৯ হাজার ৪৬১ জন পরীক্ষার্থী। তিন ধাপে মোট ৬১টি জেলায় (তিন পার্বত্য জেলা ব্যতীত) লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে ৬১ জেলায় তিন ধাপে এক হাজার ৮১১টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। তিন ধাপের এই নিয়োগ পরীক্ষা শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে লিখিত পরীক্ষার ফলাফল ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।’

২০২০ সালের ২০ অক্টোবর সহকারী শিক্ষকের ৩২ হাজার ৫৭৭টি শূন্যপদে নিয়োগের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। এরই মধ্যে সারা দেশে অবসরজনিত কারণে আরও দশ হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য হয়ে পড়েছে। শিক্ষক ঘাটতি নিরসনকল্পে মন্ত্রণালয় আগের বিজ্ঞপ্তির  শূন্যপদ ও বিজ্ঞপ্তির পরের শূন্যপদ মিলিয়ে ৪৫ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে; এ নিয়োগ পরীক্ষা আজ থেকে শুরু হচ্ছে।