আবাসিক হলেই থাকার সিদ্ধান্ত জাবি শিক্ষার্থীদের

Looks like you've blocked notifications!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে হলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হলত্যাগের অনুরোধ করেন প্রাধ্যক্ষরা। ছবি : এনটিভি

শিক্ষার্থীদের দ্রুত হল ত্যাগের বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য অমান্য করে হলে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার দুপুর ২টার দিকে শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া হল ত্যাগের বক্তব্যের আলোকে আজই শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।

প্রাধ্যক্ষরা আবারও শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের জন্য অনুরোধ করেন এবং হল ত্যাগের ব্যাপারে সরকারের দেওয়া ঘোষণার বিষয়েও শিক্ষার্থীদের জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘সরকারের আবাসিক হল খোলা, ক্লাস শুরু ও হল ত্যাগের সুস্পষ্ট বক্তব্যের পর প্রশাসনের কিছু করার নেই। আমি সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বক্তব্য শিক্ষার্থীদের জানিয়েছি এবং তাদের হল ত্যাগের জন্য অনুরোধ করেছি।’

শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ না করলে কী হবে? জানতে চাইলে প্রাধ্যক্ষ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিরাপত্তার জন্য শিক্ষার্থীরা হল ছাড়ছে না। হল ছেড়ে কোথায় যাবে? এমন প্রশ্নের উত্তরে ওই হলের প্রাধ্যক্ষ আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাস খোলার আগে কোনো পরীক্ষা হবে না। শিক্ষার্থীরা বাড়িতেই সবচেয়ে নিরাপদ।’

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের আবাসিক ছাত্রী সাইমুম মৌসুমী বৃষ্টি বলেন, ‘আমরা হলেই সবচেয়ে নিরাপদ। বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু আমাদের দায়িত্ব নেবে না, তাই হলের চেয়ে আমাদের জন্য নিরাপদ স্থান আর নেই। আমরা হল ছাড়ব না।’

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘শিক্ষকরা আমাদের অভিভাবক। আমরা অভিভাবকদের কাছেই বেশি নিরাপদ। যেহেতু অনলাইনে আমাদের ক্লাস ও টিউটোরিয়াল পরীক্ষা চলে এবং আমরা অনেকেই টিউশনি করি তাই আমাদের পক্ষে হল ত্যাগের সিদ্ধান্ত মানা সম্ভব নয়।’

প্রসঙ্গত, বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রথমবার প্রাধ্যক্ষরা হলে হলে অভিযানে যান এবং শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের জন্য অনুরোধ করেন। তখন শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে হল ত্যাগে অস্বীকৃতি জানায়। বিকেল ৫টার পর দ্বিতীয়বার প্রাধ্যক্ষরা হল ত্যাগের জন্য শিক্ষার্থীদের বললে তখনও শিক্ষার্থীরা হলে থাকার ব্যাপারে তাদের মতামত ব্যক্ত করে।