ইবি ছাত্রলীগের দুপক্ষে সংঘর্ষ, আহত ৮

Looks like you've blocked notifications!
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল শনিবার রাতে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি : এনটিভি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে কনিষ্ঠ ছাত্রের হাতে সিনিয়র ছাত্র মারধরের শিকার হলে দুপক্ষে সংঘর্ষ বাধে। পরে রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্যাম্পাসের জিয়া মোড় এলাকায় দফায় দফায় মারধর ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আটজন আহত হন। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হলে মার্কেটিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জেবিয়ারকে বন্ধু ভেবে পেছন থেকে ডাক দেন আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী কামাল হোসেন। এ ঘটনায় কামাল দুঃখ প্রকাশ করার পরও জেবিয়ার কামালের ওপর চড়াও হন। একই সঙ্গে জেবিয়ার কামালকে শাসান এবং দেখা করতে বলেন। পরে কামাল তাঁর বন্ধুদের নিয়ে জিয়া হলের ১২৭ নম্বর কক্ষে জেবিয়ারের সঙ্গে দেখা করতে যান। এ সময় তাঁদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে জেবিয়ারকে মারধর করেন কামাল ও তাঁর বন্ধুরা। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। সমাধান হলেও পরে জিয়া হলের ২০৮ নম্বর কক্ষে কামাল অবস্থান করছেন সংবাদ পেয়ে জেবিয়ার তাঁর বন্ধু ইমতিয়াজ, জয়, সালমান, হামজাসহ ১০ থেকে ১৫ জনকে নিয়ে ওই কক্ষে যান। এ সময় কামাল বের হলে তাঁরা তাঁকে মারধর করেন এবং ওই কক্ষ ভাঙচুর করেন।

পরে জিয়া হলের সামনে এবং হল মোড়ে উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের কর্মীদের হাতে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র দেখা যায়। এতে উভয় পক্ষের আটজন নেতাকর্মী আহত হন। তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

আহত হিমেল চাকমা নামের একজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত চিকিৎসক রবিউল ইসলাম।

জেবিয়ার ইবি শাখা ছাত্রলীগের শাহজালাল সোহাগ গ্রুপের কর্মী এবং কামাল এখানকার ফয়সাল সিদ্দিকী আরাফাত গ্রুপের কর্মী বলে জানা গেছে।

এদিকে ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের এই সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরের নীরব থাকার অভিযোগ উঠেছে। সংঘর্ষের সময় তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার পর ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন এবং সংঘর্ষ শেষ হলে পুনরায় ফিসে আসেন বলে অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের একাধিক কর্মী।

এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসি। ছাত্রলীগের নেতারা নিজেরাই বিষয়টি সমাধান করায় আমাদের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া লাগেনি। রাতে প্রক্টরিয়াল বডি নিয়ে সংঘর্ষ থামানো সম্ভবও নয়। তবে পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।’