কনসার্টের মাধ্যমে জাবিতে চলছে প্রতিবাদ

Looks like you've blocked notifications!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ভবনের সামনে কনসার্টের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি : এনটিভি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে চলছে প্রতিবাদ কনসার্ট। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় উপাচার্য ভবনের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে এ প্রতিবাদ কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে। কনসার্টে তুহিন কান্তি দাস, সিনা হাসান, সমগীত, কনজক্রান্তি, শোভন রহমান গান গায়। এ সময় শতাধিক পুলিশ নিরাপত্তার জন্য উপাচার্যের ভবন ঘিরে রাখে।

আন্দোলনকারীদের সংগঠক নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ‘গতকাল শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী যে কথা বলেছেন সেই কথার সঙ্গে আমরা দ্বিমত পোষণ করছি। উনি আমাদের অর্থাৎ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রমাণ সহকারে লিখিত অভিযোগ করতে বলেছেন। আমরা তো বিষয়টি প্রমাণ করতে আসেনি, আমরা অভিযোগ তুলেছি। এখন তদন্ত করে এই অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করার দায়িত্ব সংশ্লিষ্টদের।’

এই অধ্যাপক আরো বলেন, ‘তদন্তে যদি উপাচার্য নির্দোষ হন, তখন কোনো কথা হবে না। কিন্তু এটা প্রমাণ করার দায়িত্ব যখন কেউ নিচ্ছেন না তখনই আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’

অপরদিকে দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণিত না হলে অভিযোগকারীদের শাস্তি পেতে হবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে আশাব্যাঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষকরা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরিস্থিতির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নজর দিয়েছেন বলে তাকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তারা। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও চায় আনীত অভিযোগ তদন্তের মাধ্যমে চূড়ান্ত সমাধান হোক।

এদিকে প্রধামন্ত্রীর বক্তব্যকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ক্যাম্পাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। উপাচার্যপন্থী এবং উপাচার্যবিরোধী সবাই প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছে। একইসঙ্গে তদন্তেরও দাবি সবার।

বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপাচার্যপন্থী সংগঠন ‘অন্যায়ের বিরুদ্ধে এবং উন্নয়নের পক্ষে জাহাঙ্গীরনগর’এর আহ্বায়ক পদার্থবিজ্ঞানী অধ্যাপক এ এ মামুন বলেন, ‘যতোক্ষণ পর্যন্ত উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়টি প্রমাণিত না হবে ততোক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাঁর সঙ্গে আছি। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি তিনি দুর্নীতি করেননি। আমরা চাই আনীত অভিযোগের তদন্ত হোক। উপাচার্যও চান তদন্ত হোক। প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়ে রয়েছে। তারা বিষয়টি দেখবেন। সরকার যেহেতু এই অভিযোগের বিষয়টি দেখছেন সেখানে এ নিয়ে মন্তব্য করব না।’

আন্দোলনের সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন জানান, ‘আজকে আমাদের কর্মসূচি প্রতিবাদ কনসার্টের মাধ্যমে শেষ হবে। উপাচার্য ফারজানা ইসলাম অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

আগামীর কর্মসূচি বিষয়ে জানতে চাইলে রাইন বলেন, ‘আমাগীকাল প্রতিবাদী ফটোচিত্র অংকন ও বিক্ষোভ মিছিল।’

প্রসঙ্গত, গতকাল সভা-সমাবেশে প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তা ভেঙেই সারাদিন আন্দোলন চালায় শিক্ষক -শিক্ষার্থীরা।