চবিতে ছাত্রলীগের একাংশের অবরোধ, শাটল ট্রেন বন্ধ

Looks like you've blocked notifications!

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে ছাত্রলীগের একাংশের আহ্বানে আজ বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলছে।

অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গামী শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ রেখেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ এবং ক্যাম্পাসে কোনো যানবাহন চলাচল করতে দিচ্ছে না ছাত্রলীগ। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।

ক্যাম্পাসভিত্তিক ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয় এবং সিএফসি গ্রুপের মধ্যে বুধবার বিকেলে মারামারির পর গভীর রাতে চবি প্রশাসনের সহযোগিতায় পুলিশ ২০ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে আটক করেছে।

হাটহাজারী থানা পুলিশ জানায়, রাত সাড়ে ১১টা থেকে পৌনে ১টা পর্যন্ত শাহ আমানত ও সোহরাওয়ার্দী হলে তল্লাশি চালিয়ে ২০ জনকে আটকের পাশাপাশি বস্তাভর্তি কাচের বোতল উদ্ধার করা হয়েছে।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ আলম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রাখতে রাতে অভিযান চালানো হয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ফোর্স রাখা হয়েছে।’

জানা যায়, চবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে কথাকাটাকাটিকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক ওই দুই সংগঠন। সিএফসি কর্মী শামীম আজাদকে মারধর করে বিজয়ের কর্মীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলে বিজয় গ্রুপের তিন কর্মীকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে সিএফসির কর্মীরা। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অনির্দিষ্টকালের অবরোধের ডাক দেয় বিজয় পক্ষের নেতাকর্মীরা।

হামলায় আহতরা হলেন বিজয় পক্ষের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের আবু বক্কর সিদ্দিক, আইন অনুষদের একই বর্ষের অপূর্ব, গণিত বিভাগের রাওফান এবং সিএফসি পক্ষের ইতিহাস বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শামীম আজাদ।

আহতদের মধ্যে আবু বক্কর সিদ্দিকের হাতে ও পায়ে গুরুতর জখম হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে অপর এক ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশনসংলগ্ন একটি খাবারের দোকানে বগিভিত্তিক সংগঠন সিক্সটি নাইন পক্ষের দুই কর্মীকে মারধর করে রেড সিগন্যাল পক্ষ। এতে দুজন আহত হয়।

এসব ঘটনার জেরে দোষীদের আটকের দাবিতে ক্যাম্পাসের মূল ফটক ও শহরগামী শাটল ট্রেন প্রায় দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন সিক্সটি নাইনের অনুসারীরা। পরে প্রক্টর দোষীদের বৃহস্পতিবার দুপুরের মধ্যে আটকের আশ্বাস দিলে তাঁরা শাটল ও মূল ফটক ছেড়ে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এস এম মনিরুল হাসান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি আপাতত শান্ত রয়েছে। হলগুলোতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছি।’