চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের সংগঠনের আত্মপ্রকাশ, সভাপতি রাকিব সম্পাদক মৃত্তিকা

Looks like you've blocked notifications!
রোববার পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের এক সাধারণ সভায় বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। ছবি : এনটিভি

বাংলাদেশের সব চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীর সর্বপ্রথম ও একমাত্র সংগঠন ‘বাংলাদেশ ফিল্ম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিএফএসএ) যাত্রা শুরু করেছে। সংগঠনটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম ও ফটোগ্রাফি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আল-আমিন রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মৃত্তিকা বিনতে রাশেদ।

বাংলাদেশের পাঁচটি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চিত্র নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।

গতকাল রোববার বিকেলে এ পাঁচ বিশ্ববিদ্যালয়ের চলচ্চিত্রে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের এক নির্ধারিত সাধারণ সভায় সংগঠনটি আত্মপ্রকাশ করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশনের শিক্ষার্থী সাদমান শাহরিয়ার।

সংগঠনটির আহ্বায়ক সাদমান শাহরিয়ার বলেন, ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বেহাল দশা থেকে উঠে দাঁড়ানো জন্যই আমরা একত্রিত হয়েছি, আমাদের সংগঠনের স্লোগান হচ্ছে ‘শিক্ষা, চলচ্চিত্র, পরিবর্তন’। অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চলচ্চিত্র নির্মাণ আর নয়। আমাদের চলচ্চিত্র কী, সেটা জানতে হবে, শিখতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞান না রেখে কেবল বিনোদনের খোরাক হিসেবে যে সিনেমা নির্মাণ করা হচ্ছে তার জন্যই আমাদের চলচ্চিত্রের মান এত কমেছে।’

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও খসড়া গঠনতন্ত্রের অনুমোদন দেওয়া হয়।

নব-নির্বাচিত সভাপতি মো. আল-আমিন রাকিব বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটা সংগঠন করা আমাদের সবারই বহুদিনের স্বপ্ন ছিল, যা অবশেষে পূরণ হল। আশা করি একাডেমিক পড়ালেখায় সাহায্যের পাশাপাশি চলচ্চিত্র অঙ্গনে শিক্ষার্থীদের কাজের জন্য সহায়ক হবে আমাদের এ সংগঠন। আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ আমাদের দেশকে সুস্থ-সুন্দর চলচ্চিত্র উপহার দিতে।’