জাবিতে ‘প্রজাপ্রতি মেলা’ ২০ ডিসেম্বর
‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’ এই স্লোগানে দশমবারের মতো ‘প্রজাপতি মেলা’ আয়োজন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রাণিবিদ্যা বিভাগ। প্রতি বছরের মতো এবারও প্রজাপতি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ২০ ডিসেম্বর এ প্রজাপতি মেলা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ বুধবার বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়ায় এক সংবাদ সম্মেলনে প্রজাপ্রতি মেলা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন একথা জানান।
ড. মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বছর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকার কারণে নির্দিষ্ট সময়ে মেলা আয়োজন করা যায়নি। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যে ২০ ডিসেম্বর প্রজাপ্রতি মেলা আয়োজন করতে যাচ্ছি। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই মেলার কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে মেলার উদ্বোধন করবেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।’
অধ্যাপক ড. মো. মনোয়ার হোসেন আরো বলেন, ‘প্রজাপ্রতির গবেষণায় সার্বিক অবদানের জন্য এ বছর প্রজাপ্রতি মেলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এম. এ. বাশারকে ‘বাটারফ্লাই অ্যাওয়ার্ড -২০১৯’ এবং সবুজবাগ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী অরুণাভ ব্রুণোকে ‘বাটারফ্লাই ইয়াং এনথাসিস্ট অ্যাওয়ার্ড’ দেওয়া করা হবে।’
এবারের মেলায় দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে রয়েছে শোভাযাত্রা, প্রজাপতিবিষয়ক ছবি আঁকা ও শিশু-কিশোরদের জন্য কুইজ প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আলোকচিত্র প্রদর্শনী, প্রজাপতিবিষয়ক আলোকচিত্র প্রতিযোগিতা, হাট দর্শন (জীবন্ত প্রজাপতি প্রদর্শন), প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি উড়ানো, বারোয়ারি বিতর্ক ( প্রজাপতি ও প্রকৃতি), প্রজাপতি চেনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতিবিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শনী, পুরস্কার বিতরণ ও সমাপনী অনুষ্ঠান।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে সকাল ৯টায় রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
দিন দিন কেন প্রজাপ্রতি কমে যাচ্ছে? এমন প্রশ্নে অধ্যাপক মনোয়ার জানান, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের ঋতুর পরিবর্তনে প্রভাব ফেলছে। এসব পরিবর্তন প্রজাপ্রতি বিস্তারে বাঁধা দিচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নমূলক কাজও প্রজাপ্রতি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলছে। আমরা চাই প্রকৃতি ধ্বংস না করে যাতে উন্নয়নমূলক কাজ চলে। আর মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি না হলে প্রজাপ্রতি বিস্তার সম্ভব নয়।’
গণসচেতনতা বৃদ্ধি ও বাস্তুতন্ত্রে প্রজাপ্রতির ভূমিকা এবং প্রজাপ্রতির সঙ্গে মানুষের পরিচিতি এসব লক্ষ্যকে সামনে নিয়েই এ মেলার আয়োজন করা হয়। ২০১০ সাল থেকে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখা ধারাবাহিকভাবে এ মেলা করে থাকে। এই মেলায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শিশু-কিশোর ও প্রকৃতিপ্রেমীরা ভিড় জমায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।