জাবির ছাত্রী হলে চুরি করতে গিয়ে একজন আটক
![](https://ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2020/02/27/ju-thip-pic.jpg)
রাতে চোরের আতঙ্কে থাকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) বেগম সুফিয়া কামাল হলের আবাসিক ছাত্রীরা। এ পর্যন্ত তিনবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে হলের নিরাপত্তাকর্মীরা।
গতকাল বুধবার রাত দেড়টার দিকে চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকেই মামুন মিয়া নামের একজনকে আটক করা হয়।
নিরাপত্তাকর্মী রনি হাওলাদার এনটিভি অনলাইকে বলেন, ‘চোর রাস্তার পাশ দিয়ে হলে প্রবেশ করেছে। কয়েকদিন ধরেই চোরের আনাগোনা আমরা বুঝতে পারছিলাম। তাই রাস্তার পাশে একজন নিরাপত্তাকর্মীকে দায়িত্বে রাখা হয়েছে। প্রবেশ করার কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে দেখে ফেলেন। পরে চোর হলের ভিতরের আমগাছের ডাল বেয়ে বাহিরে জমে থাকা পানিতে লাফ দেন। পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পাশে থাকা শিক্ষকদের কোয়ার্টার থেকে নিরাপত্তাকর্মী এগিয়ে আসেন। পরে তাঁকে হলের সামনের বকুল গাছের নিচ থেকে ধরা হয়। রাত পৌনে ২টায় প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’
কীভাবে চোর হলে প্রবেশ করেছে জিজ্ঞেস করলে রনি জানায়, ‘পাশে নতুন হলের কাজ চলছে। নির্মাণাধীন হলের মাটি রাস্তার পাশে রাখাতে হলের দেওয়ালের উচ্চতা কমে গেছে। ওইদিক দিয়েই চোর ভেতরে ঢুকেছে।’
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. মোতাহের হোসেন বলেন, ‘চুরির ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। এর আগেও দুইবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। পাশে হলের নির্মাণ কাজের মাটি ফেলায় রাস্তার পাশের দেওয়ালের উচ্চতা কমে গেছে। নিরাপত্তার জন্য একজনকে ওইদিকে রাখা হয়। দেওয়ালের উচ্চতার বাড়ানোর বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। গত দুই মাস আগে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কাজ এখনো শুরু হয়নি।’
ছাত্রীদের আতঙ্কের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রীদের সঙ্গে একমত। চুরির ঘটনা কয়েকবার ঘটল। আজ একজন উপ-উপাচার্য দেখে গেছেন। কিছুদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ার বিভাগ থেকেও দেখে গেছে। তবে কোনো অগ্রগতি নেই। এই কাজ হল প্রশাসনের নয়। তাই আমরা আবারও প্রশাসনকে জানিয়েছি। আশা করি প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবে।’
এ ঘটনার পর হলের কয়েকজন আবাসিক ছাত্রী ও অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীরাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের আতঙ্ক ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। পুষ্প হাসান নামের একজন ছাত্রী আতঙ্কিত হয়ে লেখেন, ‘বেগম সুফিয়া কামাল হলে প্রায়ই নিচতলার রুমগুলোতে জানালা দিয়ে চোর উকি মারে। এমনকি কিছুদিন আগে একজনের মোবাইলও চুরি হয়েছিল।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘পৌনে ২টায় একজনকে হলের নিরাপত্তাকর্মীদের কাছ থেকে আটক করি। ২টার দিকে চোরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।’ চুরির ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা তেমন কোনো বিরাট ঘটনা নয়। চোর মাদকাসক্ত ছিল। হলে প্রবেশ করে চুরির চেষ্টা করলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাঁকে ধরে ফেলেন।’