জাবির শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২৭ জানুয়ারি

Looks like you've blocked notifications!

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচন ২৭ জানুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকটের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে এই গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন। ইতোমধ্যে নির্বাচনে  ভিসিপন্থি ও ভিসিবিরোধী প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।

ভিসিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারে সভাপতি প্রার্থী পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. এ. মামুন ও সম্পাদক পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীর কবির।

অন্যদিকে ভিসিবিরোধী সংগঠন ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজ’ এর ব্যানারে লড়বেন সভাপতি প্রার্থী ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. সোহেল রানা ও সম্পাদক অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আমজাদ হোসেন।

ভিসিপন্থি সংগঠনের অন্য প্রার্থীরা হলেন সহ-সভাপতি পরিবেশ বিজ্ঞান বিভগের অধ্যাপক সৈয়দ হাফিজুর রহমান, যুগ্ম-সম্পাদক ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজির সহযোগী অধ্যাপক রিসালা তাসিন খান, কোষাধ্যক্ষ ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের অধ্যাপক মো. মোতাহার হোসেন, সদস্য কম্পিউটার স্যায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক যুগল কৃষ্ণ দাস, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক কৌশিক সাহা, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ রেজা, সরকারও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক বশির আহমেদ, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ইসমত আরা, ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হুসাইন মো. সায়েম, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বারতা চক্রবর্তী, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফখরুল ইসলাম, ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজা খাতুন।

ভিসিবিরোধী সংগঠনের অন্য প্রার্থীরা হলেন সহ-সভাপতি মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রহমান, যুগ্মসম্পাদক প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস, সদস্য- রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মাহবুব কবির, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শামীমা সুলতানা, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহা. সাবির হোসেন, ইতিহাস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মালিহা নার্গিস আহমেদ, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সায়েমা খাতুন, ভূগোল ও পরিবশে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক উম্মে সায়কা, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, ভূগোল ও পরিবশে বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ রেজাউল রকিব।

তিন সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম আবুল কালাম। এছাড়া সহকারী দুই কমিশনার হলেন নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আকতার মাহমুদ এবং ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এনটিভি অনলাইনকে জানান, ‘১৫ জানুয়ারি মনোনয়ন জমার শেষ তারিখ ছিল। ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে। ২৭ জানুয়ারি (সোমবার) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্লাবে ভোটগ্রহণ চলবে।’

ভোটার সংখ্যা কত? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রায় ছয় শতাধিক শিক্ষক এই ভোটে অংশগ্রহণ করবেন। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা চাই।’

প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট সমাধানে তেমন কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি শিক্ষক সমিতিকে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় নিরব ছিল সংগঠনের নেতারা। এসব নিয়ে বিগত কমিটির সম্পাদকসহ চারজন পদত্যাগও করেন। শিক্ষক রাজনীতিতে এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিসিবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষকদের উপস্থিতি কম থাকলেও নির্বাচনের ফলাফল বলে দিবে উপাচার্যের দুর্নীতির বিষয়ে শিক্ষকদের অবস্থান।