জাবির ৭ আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সাত আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ।
গতকাল বুধবার উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের সংগঠক ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী জয়, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (মাক্সবাদী) বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদসহ পাঁচ অজ্ঞাতনামার বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় জিডিটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদিপ্ত শাহীন।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, ‘জিডি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনও হাতে পাইনি।’
জিডিতে বলা হয়, ১৩ নভেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টায় অফিস চলাকালীন উল্লেখিত দুইজন আন্দোলনকারীর নেতৃত্বে মোট সাতজন বিনা অনুমতিতে উপাচার্য অফিসে প্রবেশ করেন। এ সময় তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাসহ অফিস থেকে চলে যেতে বলেন। চলে না গেলে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার হুমকি দেওয়া হয়।
উপাচার্যকে হুমকির অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রনেতা মাহাথির মুহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা একটা মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ। আমরা অনুমতি নিয়েই উপাচার্যের কার্যালয়ে প্রবেশ করেছি। আন্দোলনকারীদের উপর এমন ন্যাক্কারজনক হামলার পর আমরা উপাচার্যকে আর দায়িত্বপালন না করতে বিনীত অনুরোধ জানাই। এটাকে হুমকি হিসেবে সাজানো অত্যন্ত বাজে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’
ছাত্র ইউনিয়নের নেতা নজির আমিন চৌধুরী জয় বলেন, ‘একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে শিক্ষার্থীরা কথা বলতে গেলে সেটাকে যদি হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় তাহলে সেটি দু:খজনক। এর মধ্য দিয়ে এই উপাচার্য কতটা অসহিষ্ণু মনোভাবের তা বুঝতে পারা যায়। এই ঘটনা প্রমাণ করে উপাচার্য নিজেই শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে পরিণত হয়েছেন। যিনি ভিত্তিহীন অভিযোগে বারবার শিক্ষার্থীদের নামে মামলা ঠুকে দেন।’
এর আগে ১ নভেম্বর এক সহকারী প্রক্টরের উপর হামলার অভিযোগে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জন আন্দোলনকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।