জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হলো ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) চালু হয়েছে ‘উন্মুক্ত লাইব্রেরি।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র, সমাজবিজ্ঞান অনুষদ ও মুরাদ চত্বরে এই ব্যতিক্রমী লাইব্রেরি স্থাপন করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর সহযোগী সংগঠন ‘ইয়েস গ্রুপ।’
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) এই লাইব্রেরি উদ্বোধন করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান।
এই লাইব্রেরি সবার জন্য উন্মুক্ত। লাইব্রেরির গায়ে লেখা আছে সততার পরিচয় দিন। লাইব্রেরি বাক্সে কোনো তালা থাকবে না। যে কেউ বই নিয়ে পড়তে পারবে। আবার নিজ দায়িত্বে রেখে দিতে হবে। কবি আল মাহমুদের ‘সোনালী কাবিন’, রবীন্দ্রনাথের ‘শেষের কবিতা’, সুকান্তের রচনাসমগ্র, জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’, বাংলাদেশের সুশাসনের সমস্যা : উত্তরণের উপায়সহ গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে এই লাইব্রেরিতে।
এই বিষয়ে লাইব্রেরির স্বপ্নদ্রষ্টা মাহবুব আলম বলেন, ‘বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এমন লাইব্রেরি রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় প্রথম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন লাইব্রেরির ধারণা বাস্তবায়িত হলো।’ তিনি আরো বলেন, ‘পড়াশোনাটাকে নির্দিষ্ট স্থানের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা ঠিকনা। যার যখন ইচ্ছে, যেখানে ইচ্ছে পড়তে মন চাইবে সেখানেই যেন পড়তে পারে সে জন্য এই লাইব্রেরি। আশা করি শিক্ষার্থীরা এই লাইব্রেরির উদ্দেশ্যকে কার্যকর করবে।’
ইয়েস গ্রুপের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন ‘এই আইডিয়াটি খুবই চমৎকার। এর ফলে শিক্ষার্থীরা আড্ডার সময়গুলোকেও ইচ্ছে করলে পড়ার কাজে ব্যয় করতে পারবে। বই তরুণদের মেধা বিকাশে সহায়তা করবে। মানবিকমূল্যবোধকে জাগিয়ে তুলবে।’
এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক নাসিমা আখতার হোসাইন। এ ছাড়া ইয়েস গ্রুপের সদস্যরাও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।