জেন্ডার সমতা তুলে ধরতে ঢাবিতে ‘ফিফটি-ফিফটি’ বিতর্ক প্রতিযোগিতা
তরুণ প্রজন্মের কাছে জেন্ডার সমতার ধারণাকে তুলে ধরতে ‘পেসিং টুওয়ার্ড ইকুয়ালিটি’ প্রতিপাদ্য করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত হলো ব্রিটিশ পার্লামেন্টারি বাংলা বিতর্ক প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় আসর।
নারী ও পুরুষ প্রতিযোগির সমান অংশে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার নামও রাখা হয় ‘৫০-৫০’ (ফিটটি-ফিফটি)। দুই দিনের টুর্নামেন্ট শেষে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. এম ওয়াহিদুজ্জামান। এছাড়া বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এবং আইইআর ডিবেটিং ক্লাবের বর্তমান মডারেটর মো. ফজলুর রহমান, অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান, আইইআর অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মতিয়ার রহমান ও ঢাকা ইউনিভার্সিটি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি শেখ মো. আরমান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, প্রতিযোগিতার জন্য পুরো বাংলাদেশ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৯০টি দল রেজিস্ট্রেশন করেছিল। আয়োজনের প্রথম দিন ৭ অক্টোবর মোট ৩২ জন বিতার্কিককে নিয়ে গড়ে ওঠা ১৬টি দল মূলপর্বে অংশ নেয়। পরপর ৩ রাউন্ড বিতর্কের পর মোট ৪টি দল পরদিন চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়। টুর্নামেন্টে বিজয়ী হয় শিনচ্যান অ্যান্ড মাসাও দলের মোহাম্মদ হাসিব খান এবং শেখ সাদিয়া সিদ্দিকা। তারা উভয়েই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
এছাড়া ডিবেটর অব দ্য টুর্নামেন্ট নির্বাচিত হন আবদুল্লাহ আল বাঁধন (ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি), মির্জা সাকি (জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়) এবং মোহাম্মদ বখতিয়ার (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)। ৫০-৫০ এর এবারের আসরে ডিবেটর অব দ্য ফাইনাল নির্বাচিত হন শিনচান অ্যান্ড মাসাও দলের সদস্য মোহাম্মদ হাসিব খান।
পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এম ওয়াহিদুজ্জামান বিতর্ক বিষয়ক স্মৃতিচারণা করেন এবং বিতার্কিকদের বিতর্ক শেখার পাশাপাশি একজন ভালো মানুষ হওয়ার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘বিতার্কিকদের যেমন যৌক্তিকভাবে চিন্তা করা শিখতে হবে ঠিক তেমনি অন্যের মতামতকেও শ্রদ্ধা করতে হবে।’
এছাড়াও তিনি নারী-পুরুষের সমতা বিতর্ক অঙ্গনের পাশাপাশি সকল ক্ষেত্রেই যেন প্রতীয়মান হয়, এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ফওজিয়া মোসলেম বলেন, নারীরা এখনও পিছিয়ে আছে। তাদেরকেও সামনে আনতে হবে। শুধু ডিবেটের ক্ষেত্রে না, ব্যক্তিজীবনেও যেন নারীদের শ্রদ্ধা করা হয়, জেন্ডার ইকুয়ালিটি মেইনটেইন করা হয়, এ বিষয়ে আমাদের প্রত্যককে সচেতন হতে হবে। আইইআর ডিবেটিং ক্লাবের এ আয়োজন বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জেন্ডার ইকুয়ালিটি মনোভাবের চমৎকার প্রকাশ।
আইইআর ডিবেটিং ক্লাবের প্রেসিডেন্ট রেজাউল করিম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আমাদের এ আয়োজনের মাধ্যমে বর্তমান তারুণ্যের মাঝে লিঙ্গ সমতার ধারণাটি আরও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।