ডিনস কমিটির সভা

ঢাবিতে অনলাইনে ক্লাসের উদ্যোগ

Looks like you've blocked notifications!

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য ‘বাস্তবতার নিরিখে‘ অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার রুমে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির সভা থেকে এই আহ্বান জানানো হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে ডিনস কমিটির এই সভার আয়োজন করা হয়।

পরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অনলাইন ক্লাস গ্রহণের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করা হয়।   

এতে আরো উল্লেখ করা হয়, ‘এ জন্য প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান (বিভাগ/ইনস্টিটিউট) এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কী কী চাহিদা/ঘাটতি রয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়।

এই চাহিদা নির্ধারণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ডিন/পরিচালক সমন্বয় করবেন।’

‘যাদের যে সীমিত সামর্থ্য আছে তা দিয়ে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম শুরু করলেই প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ঘাটতি/চাহিদা চিহ্নিত ও নিরূপণ করা দ্রুত ও সহজ হবে’, যোগ করা হয় সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।

পরে সন্ধ্যায় এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি এবং অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বিভাগ ও ইনস্টিটিউটকে অনুরোধ করা হয়েছে। এখন তারাই বিষয়টি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেবে।’

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমা ডিনস কমিটির সভায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ন্যূনতম প্রিমিয়ামে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রাপ্তির লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষকে সভাপতি করে ছয় সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির সদস্যরা হলেন- বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইনস্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ।

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতন, দায়িত্ববোধ সম্পন্ন ভালো গ্র্যাজুয়েট ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে এই স্বাস্থ্যবিমা সহায়তা করবে।

বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীদের বাধ্যতামূলক স্বাস্থ্যবিমায় অংশগ্রহণ করতে হয়।

অধিকন্তু এসডিজি অর্জন ও বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ের উন্নয়নে এ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি গোল ও ১৬৯টি টার্গেটের কোনটি কোন বিভাগ/ইনস্টিটিউট কীভাবে অর্জন করবে তার একটি ডাটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই ডাটাবেজ প্রণয়নে অনুষদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিন এবং ইনস্টিটিউটের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিচালক সমন্বয় করবেন। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে এই ডাটাবেজ জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর ডিনস কমিটির সভায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে কারিকুলাম উন্নয়নের অনুরোধ করা হয়েছিল।

এখনো যারা সে নিরিখে কারিকুলাম উন্নয়ন করেননি তাদের কারিকুলাম উন্নয়নের জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের র‌্যাঙ্কিং উন্নয়নে এ কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান ও শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন এবং অধিকতর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য, বিভাগ/ ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনা করে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।