ঢাবির হলে অভিযানের আগেই পালাল অবস্থানকারীরা
করোনায় বন্ধ থাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলে অনেকেই অবস্থান করছেন। এমন খবর জেনে হলগুলোতে অভিযান চালায় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি হলে অভিযান চালিয়ে মোট ছয়টি কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টা থেকে ১টা পর্যন্ত অভিযান চালায় প্রশাসন। এদিকে অভিযান চালানো হবে খবর পেয়ে হল ছেড়ে পালিয়ে যান অবস্থানকারীরা। ফলে কাউকেই আটক করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানীর নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন দুই হলের প্রভোস্ট, হাউজ টিউটর, প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্যেরা এবং রমনা জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদের নেতৃত্বে শাহবাগ থানা পুলিশের সদস্যেরা।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘হল প্রভোস্টদের উপস্থিতে দুটি হলে অভিযান চালানো হয়। দুই হলের তিনটি করে ছয়টি কক্ষ সিলগালা করা হয়। জহুরুল হক হলে আমাদের অভিযানের খবর পেয়ে অবস্থানকারীরা পালিয়ে যায়। তবে, তাদের উপস্থিতির আলামত আমরা পেয়েছি, বাতিও জ্বালানো ছিল। আর সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে পাওয়া গেছে। সে বিষয়ে প্রভোস্টকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’
জহুরুল হক হলের ৩০১, ৩০২ ও ৩০৩ নম্বর কক্ষ এবং সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ২৯, ৩৫ ও ৩৯ নম্বর কক্ষ সিলগালা করে দেওয়া হয়। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান প্রক্টর।
সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের হলে একজন সাধারণ শিক্ষার্থী তালা দেওয়ার কারণে বের হতে না পারায় অবস্থান করে, তাকে বের করে দেওয়া হয়েছে। আর কেউ অবস্থান করেনি। সন্ধ্যা ৭টা থেকে হল গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আমরা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছি।’
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হলের যেসব কক্ষে অবস্থানের আলামত পাওয়া গেছে, সেগুলো সিলগালা করা হয়েছে। আমরা কঠোর অবস্থানে আছি।’