ঢাবি শিক্ষকের পিএইচডিতে চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ, শাস্তি দিতে ট্রাইব্যুনাল

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবির। ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবিরের পিএইচডি গবেষণা অভিসন্দর্ভে (থিসিস) চৌর্যবৃত্তির প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নির্বাহী ফোরাম সিন্ডিকেট। এখন তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তি নির্ধারণে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবুল কালাম লুৎফুল কবিরের পিএইচ.ডি গবেষণা অভিসন্দর্ভ (থিসিস)-এর বিষয়ে আনীত Plagiarism-এর অভিযোগ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।’

সভায় একাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ জন গবেষককে পিএইচডি এবং ১৭ জন গবেষককে এমফিল ডিগ্রি প্রদান করা হয়।

এ ছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নবপ্রতিষ্ঠিত বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সেন্টার ফর জেন্ডার অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের গঠনতন্ত্র অনুমোদন করা হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।

উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এই সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গত বছরের শুরুতে একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আবুল কালাম লুৎফুল কবিরের বিরুদ্ধে চৌর্যবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে সিন্ডিকেট সভায় ওই শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। পাশাপাশি অভিযোগ তদন্তে কমিটি করে দেয় সিন্ডিকেট।