তিন পদ থেকে সেই সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ, বিক্ষোভ অব্যাহত
চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে মুখে তিন পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। তিনি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ বিভাগের চেয়ারম্যানের পদ, সিন্ডিকেটেরে সদস্য ও প্রক্টর কমিটির সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তবে তাঁর স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আব্দুল লতিফের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তিনি এ পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে অনশন
এদিকে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে অনশন করছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে এই অনশন পালন করে শিক্ষার্থীরা। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে তাঁরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি, ছাত্রী হলের দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন ছাত্রীদের নিয়মিত মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন। তিনি শিক্ষার্থীদের চুল কেটে দেওয়ায় এক শিক্ষার্থী লজ্জায় আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। এ ঘটনায় সহকারী প্রক্টরের স্থায়ী পদত্যাগের দাবিতে তাদের এই আন্দোলন কর্মসূচি।
তদন্ত কমিটি গঠন
ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রবীন্দ্র অধ্যায়ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান লায়লা ফেরদৌস হিমেলকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান লাইলা ফেরদৌস হিমেল বলেন, ‘আমাকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে গত রোববার পরীক্ষার হলের দরজায় দাঁড়িয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেন ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন। এর প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার সব পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করে শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়াও একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয় শিক্ষার্থীরা। এ অপমানে নাজমুল হাসান তুহিন নামের এক শিক্ষার্থী অতিমাত্রার ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।