রাবিতে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও পোষ্য কোটা বাতিলের দাবি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পোষ্য কোটা বাতিলসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে এ দাবি জানানো হয়।
এসময় পোষ্য কোটা বাতিল করা না হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবন অবরোধের হুঁশিয়ারিও দেন শিক্ষার্থীরা৷ পরে মানববন্ধন শেষে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।
তাদের দাবিগুলো হলো- ফেল করার পরও যেসব শিক্ষার্থীদের ভর্তি করা হয়েছে তাদের ভর্তি বাতিল করতে হবে, পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে, জালিয়াতির মাধ্যমে যারা ভর্তি হয়েছে তাদের ভর্তি বাতিল এবং জালিয়াতির সাথে যারা জড়িত, তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কি শিক্ষক-কর্মকর্তাদের অযোগ্য সন্তানদের জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? সাধারণত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা রাখা হয়। তাহলে কি আমাদের শিক্ষকরা তাদেরকে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী মনে করেন? আবার এরাই পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা হবে। আমরা এই অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানাই।
রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আবদুল মজিদ অন্তর বলেন, ফেল করেও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির এই অনিয়ম কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য না। যারা মিনিমাম ৪০ পেয়েও পাস করতে পারে না, এমন অযোগ্যদের ভর্তির সুযোগ দিয়েছে প্রশাসন। অযোগ্য শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধাবীদের উচ্চশিক্ষার পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। প্রশাসন যদি এই পৈতৃক কোটা বন্ধ না করে, তাহলে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভবন অবরুদ্ধ করতে বাধ্য হবো।
নাগরিক ছাত্র ঐক্যের সভাপতি মেহেদি হাসান মুন্না বলেন, এই ভিসির আগের ভিসি ৪০ জন ফেল করা শিক্ষার্থীকে ভর্তি করেছিল। বর্তমান ভিসি সেটা আরও বৃদ্ধি করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি আসে ভিসি যায়। আর তাদের অপকর্মগুলো বৃদ্ধি পায়। তারা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্বৈরতান্ত্রিক কাঠামোতে রূপান্তর করে ফেলেছে। এখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো অধিকার নেই। আমরা এই অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই। অবিলম্বে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল করতে হবে।
মানববন্ধনে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুল্লাহ মুহিবের সঞ্চালনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।