রাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেন রাজশাহীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি : এনটিভি অনলাইন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে দ্বিতীয়বার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করেছেন রাজশাহীর বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটকে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীর সিলেকশনের পদ্ধতি বাতিলের দাবিও জানান তাঁরা।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ ইমন হোসেন বলেন, ‘এবার ১৪ লাখ শিক্ষার্থী অটোপাস করেছে। সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় মিলে এক লাখ শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। বাকি ১৩ লাখ শিক্ষার্থী কোথায় যাবে? এর মধ্যে এক লাখ ৬২ হাজার শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে। আমরা দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ চাই। বিসিএস পরীক্ষায় যেমন সুযোগ দেওয়া হয়, আমরাও চাই।’

নওগাঁর জাহাঙ্গীরপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, ‘আমি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার কেন পরীক্ষা দিতে পারব না? যেখানে রাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় ৪০-এর নিচে পেয়েও শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ছেলেমেয়েরা ভর্তি হতে পারছে। সেখানে আমরা কেন দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারব না?’

‘ভর্তি পরীক্ষায় আমার সিরিয়াল পাঁচ হাজারের পরে ছিল। লকডাউনে কোচিংয়ে ভালো পড়াশোনা করতে পারিনি। অটোপাস দেওয়ায় পড়াশোনার আগ্ৰহ হারিয়ে ফেলেছিলাম। এজন্য দ্বিতীয়বার ভালো করে পরীক্ষা দিতে চাই। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব’, যোগ করেন আরিফ হোসেন।

রাজশাহী কলেজের আরেক শিক্ষার্থী মাহমুদ রনি বলেন, ‘রাবিতে ২০১৮ সাল থেকে সেকেন্ড টাইম পরীক্ষা বন্ধ করা হয়। শিক্ষার্থীদের ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও সিলেকশন নিয়মের কারণে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারছি না। সিলেকশন পদ্ধতির কারণে অনেক সত্যিকারের মেধাবী প্রথমেই বাদ পড়ে যায়। আমরা চাই আবার সেকেন্ড টাইম চালু হোক।’

শিক্ষার্থীরা কর্মসূচিতে ‘দাবি মোদের একটাই, সেকেন্ড টাইম চালু চাই’, ‘প্রশাসন জবাব চাই, সেকেন্ড টাইম কেন নাই’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায় সেকেন্ড টাইম কেন নাই’, ‘সিলেকশন বাতিল চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।