রাবির নিয়োগে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফাইল ছবি 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান মেয়াদের শেষ কর্মদিবসে অ্যাডহক নিয়োগ নিয়ে বেশকিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ফলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে আগামী সপ্তাহে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।

আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৬ মে অধ্যাপক আব্দুস সোবহান উপাচার্য হিসেবে তাঁর শেষ কর্মদিবসে ১৩৮ জনকে অ্যাডহককে নিয়োগ দিয়েছেন। এর মধ্যে শিক্ষক পদে নয় জন, কর্মকর্তা পদে ১৯ জন, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী পদে ৮৫ জন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সন্তান, স্ত্রী ও স্বজন, ছাত্রলীগের সাবেক-বর্তমান নেতাকর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন।

পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এই নিয়োগকে ‘অবৈধ ও বিধিবহির্ভুত’ উল্লেখ করে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব ড. মো. জাকির হোসেন আখন্দ ও ইউজিসির পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান।

তদন্ত কমিটির দুজন সদস্যের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অধ্যাপক আব্দুস সোবহান ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই নিয়োগ দিয়েছেন কি না তা তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখেছে। এতে তাঁর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেউ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্টতা আছে কি না সেটিও অনুসন্ধান করা হয়। তদন্ত কমিটি এই নিয়োগে বেশকিছু অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। নিয়োগপত্রে বর্তমান রেজিস্ট্রার স্বাক্ষর করেননি। বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের নয় জন ছাড়া বাকিদের জীবনবৃত্তান্ত মেলেনি। এসব অনিয়মের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, ‘তদন্ত কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করেছে। নিয়োগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা তদন্ত কাজ শেষ করেছি। তদন্তে সাবেক উপাচার্যের অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে। তদন্ত প্রতিবেদন তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। আগামী সপ্তাহে প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হতে পারে।’