শতভাগ উপস্থিতিতে খুলনা মেডিকেল কলেজে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু
শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রায় শতভাগ উপস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আনন্দমুখর পরিবেশে আজ সোমবার থেকে শুরু হয়েছে খুলনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম।
গতকাল রোববার চারটি হলই খুলে দেওয়া হয়। বহুদিন পর ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় আশপাশের দোকানিদের মুখেও হাসি ফুটেছে। নতুন করে দোকান-পসরা সাজিয়েছে তারা। এলাকাজুড়ে প্রাণ চাঞ্চল্য।
১৯৯১-৯২ অর্থবছরে চালু হওয়া খুলনা মেডিকেল কলেজে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৭০৩ জন।
অধ্যক্ষ ডা. মো. আহাদ আলী জানান, প্রথম বর্ষে মোট ১৮০ জন ভর্তির সুযোগ পেয়েছিল। তার মধ্যে ১৭৮ জন ভর্তি হয় এবং আজ সবাই ক্লাসে উপস্থিত ছিল।
গ্যালারি কক্ষে ক্লাস নেওয়া অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ডা. রহমত শরুখদার তার অনুভূতি জানাতে গিয়ে বলেন, ‘গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে আমাদের কলেজ বন্ধ থাকায় ক্লাস নিতে পারছিলাম না, তবে আমরা অনলাইন ক্লাস নিচ্ছিলাম। দীর্ঘদিন পর আজ সোমবার থেকে অফলাইন ক্লাস শুরু করেছি। এতে অত্যন্ত ভালো লাগছে, এ ক্যাম্পাস প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আমরা আশা করছি যদি করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে আমরা কন্টিনিউ করতে পারব। আমরা করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য ফেস মাস্ক, সেনিটাইজার ব্যবহার, টিকা নেওয়া এবং সুশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনে চলছি। অত্যন্ত আনন্দের বিষয় হলো, আমাদের কলেজের শিক্ষক, সব কর্মচারী ও ছাত্ররা ভ্যাক্সিনের কভারেজে আছে। সুতরাং আমরা ক্লাস নিতে পারব। আমাদের পড়ালেখার পরিবেশ বজায় থাকবে, এটাই প্রত্যাশা করছি।’
আজ প্রথম, দ্বিতীয় ও পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হয়েছে ।
কলেজে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানায়, কলেজ বন্ধ থাকলেও তারা আগে অনলাইনে ক্লাস করেছেন। আজ অফলাইনে ক্লাস শুরু হওয়ায় তারা খুশি। কারণ মেডিকেল ক্লাস মানেই প্রাক্টিক্যাল বিষয়। যা অনলাইন ক্লাসে সব সম্ভব হয়ে ওঠে না। তারা আরও জানায়, করোনা থেকে সুরক্ষার জন্য ফেস মাস্ক, সেনিটাইজার ব্যবহার, টিকা নেওয়া, সুশ্যাল ডিস্ট্যান্স মেনে চলছে সবাই। তাই সশরীরে ক্লাসরুমে সহপাঠীদের সঙ্গে উপস্থিত থাকা তাদের মধ্যে একটা ভিন্ন মাত্রা এনে দিয়েছে।