সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষা সপ্তাহ ও ক্লাব ফেস্টিভ্যাল

Looks like you've blocked notifications!
সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষে পুরস্কার প্রদান। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে শিক্ষা সপ্তাহ ও ক্লাব ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৫ জানুয়ারি) অনুষ্ঠানে ১২টি ক্লাব অংশগ্রহণ করে।

ক্লাবগুলোর মধ্যে ডিবেট ক্লাব, আর্ট অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব, ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ ক্লাব, স্কাউট, কম্পিউটার ক্লাব, স্বদেশ ও বিশ্ব ভাবনা ক্লাব প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আর্ট অ্যান্ড কালচারাল ক্লাব প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন স্কুলটির ইংরেজি বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিসা তাহসিন জাহীন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা। অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা কাজী মনিরুল ইসলাম মনুর জন্মদিন উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে কেক কাটার মধ্য দিয়ে শিক্ষা সপ্তাহ ও ক্লাব ফেস্টিভ্যাল আয়োজন শুরু করে।

অনুষ্ঠানসূচি অনুয়ায়ী, শিক্ষা সপ্তাহে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এবং দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান চলবে।

এ সময় প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বক্তব্যের শুরুতেই সংসদ সদস্য ও প্রধান অতিথিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। একইসঙ্গে তাঁর সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ কামনা করেন। 

শিক্ষা সপ্তাহ ও ক্লাব ভ্যাস্টিভ্যালের আলোকপাত করতে গিয়ে মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘আজও প্রমাণিত হলো, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ দেশসেরা। শিক্ষার্থীদের আয়োজন, আগ্রহ ও অংশগ্রহণে আমি খুবই আনন্দিত। সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষা ও সংস্কৃতি নিয়ে সমান তালে এগিয়ে যাবে। কোনো বাধাই রোধ করতে পারবে না।’ কবিতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত করে তিনি বলেন, ‘আজ নতুন সূর্যোদয়, আজ প্রাণের হবে জয়।’

বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান আলহাজ সামসুদ্দিন ভূইয়া সেন্টু বলেন, ‘এতগুলো ক্লাবের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণে শিক্ষা সপ্তাহ ও ফেস্টিভ্যাল, সত্যিই আমাকে অভিভূত করেছে। ঠিক কথাটি না বললেই নয়। অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান মোল্লার পক্ষে সত্যিই অনেক কিছু সম্ভব। অধ্যক্ষ, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ক্লাবগুলোর সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি, সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ এগিয়ে যাবে বহুদূর।’