হাফ ভাড়া নিয়ে ছাত্রী হয়রানি, বাস আটকিয়ে প্রতিবাদ

Looks like you've blocked notifications!
হাফ ভাড়া দেওয়া নিয়ে তর্কের জেরে এক ছাত্রীকে হয়রানির প্রতিবাদে ইতিহাস পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে দেয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। ছবি : সংগৃহীত

হাফ ভাড়া দেওয়া নিয়ে তর্কের জেরে এক ছাত্রীকে হয়রানির প্রতিবাদে ইতিহাস পরিবহনের কয়েকটি বাস আটকে দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা (প্রান্তিক) ফটকের সামনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে ইতিহাস পরিবহনের বাস আটক করা শুরু করে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। অন্তত ১০টি বাস আটক করে শিক্ষার্থীরা। তারা অভিযুক্ত বাসের চালক ও তার সহযোগীকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি এ ধরনের ঘটনা পুরোপুরি বন্ধেরও দাবি জানিয়েছে তারা।

এদিকে, বাস আটকের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ রফিক-জব্বার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সোহেল আহমেদ। তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা শাখার সদস্যরাও ছিলেন। পরে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান এবং আশুলিয়া থানা পুলিশের সদস্যরাও ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে সমাধানের আশ্বাস দেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা।

এদিকে, বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রক্টরিয়াল টিমের সঙ্গে ইতিহাস ও ঠিকানা বাসের মালিকপক্ষের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বাসমালিকদের পক্ষ থেকে উক্ত ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয়। বৈঠকের সিদ্বান্ত মোতাবেক এখন থেকে শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড দেখালে হাফ ভাডা নেওয়া হবে এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাসচালক বা হেলপার কর্তৃক বলপূর্বক আচরণ বা হেনস্তার শিকার হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। অভিযুক্ত স্টাফকে খুঁজে আইনের হাতে সোপর্দ করবে। এছাড়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিহাস বাসের সর্বোচ্চ ভাড়া ২৫ টাকা এবং সর্বনিম্ন ভাড়া পাঁচ টাকা নির্ধারিত করা হয়।

এদিকে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় সামনে থেকে মিরপুর যাওয়ার জন্য ইতিহাস পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন তিন ছাত্রী। শিক্ষার্থী হিসেবে হাফ ভাড়া দিতে চাইলে চালকের সহযোগীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় ওই তিন ছাত্রীর। পরে মিরপুর-১০ এলাকায় আসার পর বাসের অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে দুই ছাত্রী নেমে যান। আরেকজন মিরপুর-১৪ এলাকায় যাওয়ার জন্য বাসেই ছিলেন। তখন ওই ছাত্রীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করা শুরু করেন বাসের চালক ও তার সহযোগী।

হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী বলেন, ‘বাসে আমি একাই ছিলাম। তখন তারা বাসের গেটলক করে আমার সঙ্গে যা-তা আচরণ করেছে। এ সময় খুবই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিলাম। আমি নেমে যেতে চাইলেও তারা বাধা দেয়।’