শিক্ষার্থী নিহতের পর সাভারে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা

Looks like you've blocked notifications!
সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিতে নিহত সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী সিফাত। ছবি : এনটিভি

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে বহিরাগতদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় সিটি ইউনিভার্সিটি আগামী ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে ক্যাম্পাসের ফটকে বন্ধের নোটিশ টাঙিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নোটিশে সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের নোটিশ দেওয়ার পর সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল ছাড়তে শুরু করেছে।

ঘটনার পর থেকেই বিরুলিয়ার খাগান এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সিটি ইউনিভার্সিটির সামনে দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সিটি ইউনিভার্সিটির সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, প্রেমসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গতকাল সিটি ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী শাহেদের সঙ্গে স্থানীয় বাপ্পী নামের আরেক শিক্ষার্থীর ঝগড়া হয়। এর জেরে গতকাল সোমবার দুপুরে শাহেদসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ইউনিভার্সিটির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় বাপ্পীর পক্ষের লোকজন ওই শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে। এ সময় টেক্সটাইল বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত ও বাসুদেব নামের দুই শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হন। পরে অন্য ছাত্ররা তাঁদের দ্রুত উদ্ধার করে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিফাতকে মৃত ঘোষণা করেন। আর বাসুদেবকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় অন্তত সাতজন আহত হয়। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করে পুলিশ।

 

এ ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গতকাল আশুলিয়া সড়ক অবরোধ করে। বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা মোটরসাইকেলে আগুনসহ দোকানপাট ভাঙচুর করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের পিটুনিতে আহত হন অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী।

 

এদিকে, এ ঘটনায় শিক্ষার্থী বাপ্পীকে প্রধান আসামি সাভার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে নিহত শিক্ষার্থী সিফাতের পরিবার। পুলিশ এ পর্যন্ত চারজনকে আটক করেছে। তবে এখনো তাদের পরিচয় জানা যায়নি।

 

সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) তারিকুল ইসলাম জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে বলেও জানান এসআই তারিকুল।