অধ্যাপক রেজাউল হত্যা : বিচারই শুরু হয়নি, রাবিতে ক্ষোভ

Looks like you've blocked notifications!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী হত্যাকাণ্ডের বিচার এক বছরেও শুরু হয়নি। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তাঁর পরিবার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারকাজ দ্রুত শেষ করতে রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি)কমিশনারকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা।

এর আগে আজ দুপুরে শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত শেষ করার দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশ ও র‌্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচিতে ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ’ একাত্মতা প্রকাশ করে।

বিচার প্রক্রিয়া দেরি হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিহত রেজাউল করিমের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বলেন, ‘আটজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন জেলে আছে। আর তিনজনকে বিভিন্ন সময় ক্রসফায়ারে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু মূল যে আসামি শরিফুল,তাকে এখনো ধরতে পারেনি পুলিশ।’

‘শরিফুল দেশে আছে না ভারতে আছে, তা এখনো নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এই শরিফুলকে নিয়েই আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি।’

‘বন্দুকযুদ্ধে’ হত্যা না করে অভিযুক্তদের  বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান সৌরভ। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সভাপতি ড. এ এফ এম মাসউদ আখতার বলেন, ‘ইতোমধ্যে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সেটাতে আমরা মোটামুটি সন্তুষ্ট। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, এর সঙ্গে উগ্রপন্থীরা জড়িত। অভিযোগপত্রভুক্ত কয়েকজন আসামি ইতোমধ্যে ধরা পড়েছেন। অনেককে ক্রসফায়ারে মেরেও ফেলা হয়েছে। কিন্তু যারা এখনো ধরা পড়েনি, তাদের তো আইনের আওতায় আনা দরকার।’

আরএমপির মুখপাত্র ও জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষকরা বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করার জন্য একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন। শিক্ষক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আটজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে শুধু শরিফুল ধরা পড়েনি। তাঁকে ধরতে পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। তাঁকে ধরার প্রক্রিয়া চলছে।

২০১৬ সালের ২৩ এপ্রিল রাজশাহীর শালবাগান এলাকায় নিজ বাসার কাছে কুপিয়ে হত্যা করা হয় অধ্যাপক রেজাউলকে। ওই দিন বিকেলে ওই শিক্ষককের ছেলে রিয়াসাত ইমতিয়াজ সৌরভ বাদী হয়ে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন।

এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আরএমপির  গোয়েন্দা শাখার (ডিবি)পরিদর্শক রেজাউস সাদিক গত বছরের ৬ নভেম্বর আটজনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।