রাবিতে রমেল চাকমার ‘হত্যা’র বিচার দাবি

Looks like you've blocked notifications!

রাঙামাটির কলেজ শিক্ষার্থী রমেল চাকমাকে ‘হত্যাকাণ্ডের’ প্রতিবাদে মানববন্ধ করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনাকে সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধ অভিযোগ করে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ও দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।

আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের টুকিটাকি চত্বরের সামনে এ মানববন্ধন আয়োজন করা হয়।

রমেল চাকমাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ওখানে দেখতে গিয়েছিলাম। গত ১৯ এপ্রিলের রমেল চাকমা নামে নানিয়ারচরের একজন এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে স্থানীয় বাজার থেকে রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্যরা ধরে নিয়ে যায় এবং তাকে বেধড়ক মারধর করে। তাকে নির্যাতন করে মুমূর্ষু অবস্থায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার চেষ্টা করা হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রহণ করেনি। অবশেষে চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসা দিয়েও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।’

আমিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘সংবিধানে প্রতিটি নাগরিকের জন্য সমান অধিকার, সমান সম্মান ও নিরাপত্তার কথা থাকলেও আমাদের পাহাড়ি বন্ধুদের মৌলিক অধিকার দেওয়া হচ্ছে না।’ ১৯৯৭-এর শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না বলেও পাহাড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব হচ্ছে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।

হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অরুণ বিকাশ চাকমার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাসেল চাকমা, আদিবাসী ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বিভূতি ভূষণ মাহাতোব, ছাত্র ইউনিয়ন রাবি শাখার সভাপতি এম শাকিল হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি লিটন দাস, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি দীপেন চাকমা।

গত ৫ এপ্রিল নানিয়ারচরের ট্রাক পোড়ানো ও বাস লুটের ঘটনায় পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নানিয়ারচর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী রমেল চাকমাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। তারপর দুই সপ্তাহ ধরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গত ১৯ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।