সংকটের মুখে ঢাবির অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা

Looks like you've blocked notifications!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়া রাজধানীর সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন। ছবি : এনটিভি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধিভুক্ত হওয়া রাজধানীর সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীরা অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাবির অধিভুক্ত হওয়ার পর নানা সমস্যা ও সংকটে পড়েছেন তাঁরা। তাঁদের জন্য নেই কোনো ওয়েবসাইট। ঠিক হয়নি সিলেবাস। এমনকি মান বণ্টন নিয়েও তাঁরা কিছু জানেন না।

এসব সংকট নিরসনের দাবিতে আজ রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয় রাজধানীর সাতটি কলেজ। এগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

মানববন্ধন শেষে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা স্মারকলিপি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ের কাছে যান।

এসব শিক্ষার্থীর সাত দফা দাবির মধ্যে আছে, অধিভুক্ত হওয়া কলেজগুলোর  ব্যাপারে নীতিমালা প্রণয়ন ও প্রকাশ, সম্মান দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা ও মৌখিক পরীক্ষা অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা, সম্মান তৃতীয় ও মাস্টার্স শেষ পর্বের পরীক্ষা দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রহণ, ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স শেষ পর্বের ভর্তি কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা, শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সেশনজট নিরসনে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, অধিভুক্ত কলেজগুলোর সব তথ্য সংবলিত একটি ওয়েবসাইট তৈরি ও সঠিক সময়ে পরীক্ষা গ্রহণ এবং নির্বিঘ্নে ক্লাস পরিচালনার জন্য আলাদা আলাদা ভবনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

মানববন্ধনের সমন্বয়ক তিতুমীর কলেজের রসায়ন বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী রাশেদ মাহমুদ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমরা এক সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ছিলাম। তাঁরা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করত। এখন আমরা ঢাবির অধিভুক্ত কলেজের শিক্ষার্থী।’

রাশেদ মাহমুদ আরো বলেন, ‘ঢাবির অধিভুক্ত হওয়ার পরে আমাদের অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা আগে যে তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে নিতাম, এখন আমাদের জন্য কোনো ওয়েবসাইট না থাকায় কোনো ধরনের তথ্য পাই না। তা ছাড়া আমাদের সিলেবাসও ঠিক করা হয়নি। পরীক্ষার প্রশ্ন ও মানবণ্টন কী হবে তাও জানায়নি।’

রাশেদ মাহমুদ আরো বলেন, ‘আমরা এই দাবিগুলো নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দিচ্ছি। কেননা এটা আমাদের অধিভুক্ত কলেজের এক লাখ ৬৭ হাজার শিক্ষার্থীদের জীবন জড়িত। তাই এ দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা চাই।’

স্মারকলিপির ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমি বাইরে থাকায় শিক্ষার্থীরা  প্রক্টর এ এম আমজাদের কাছে তা জমা দিয়েছে। আমি হাতে পেলে সেটা দেখব।’