রাবি গ্রন্থাগার ল্যাবের এসি নষ্ট, নেই ফ্যানও

Looks like you've blocked notifications!
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কম্পিউটার ল্যাব। ছবি : এনটিভি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের কম্পিউটার ল্যাবের দুটি এয়ারকন্ডিশনারই (এসি) নষ্ট। কক্ষটিতে নেই কোনো ফ্যানও।  এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ল্যাব ব্যবহারকারী শিক্ষার্থী ও গবেষকরা।

গ্রন্থাগার কর্তৃপক্ষের দাবি, এসি ঠিক করতে প্রকৌশল দপ্তরে একাধিকবার বলেও কোনো কাজ হয়নি। অন্যদিকে এসি ঠিক করার জন্য নিজস্ব জনবল না থাকায় এ কাজে বিলম্ব হচ্ছে বলে জানিয়েছে রাবির প্রকৌশল দপ্তর।

গ্রন্থাগারের কম্পিউটার অপারেশন সুপারভাইজার শরিফুল ইসলাম বলেন,  গ্রন্থাগারের ল্যাবে  ৪৭টি কম্পিউটার রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী, এমফিল ও পিএইচডি গবেষকরা এই ল্যাব ব্যবহার করতে পারেন। ল্যাবটির দুটি এসিই দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট রয়েছে। ভেতরে কোনো ফ্যানও নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থা বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘আমি থিসিস করছি। আমার ব্যক্তিগত কম্পিউটার না থাকায় লাইব্রেরির কম্পিউটার ল্যাবে এসে কাজ করি। ল্যাবের দুটি এসি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভেতরে গরমের জন্য কাজ করতে সমস্যা হয়।’

‘কোনো কোনো কম্পিউটারে শর্টকার্ট ভাইরাস থাকায় সেখানে পেনড্রাইভ প্রবেশ করালে ফাইল খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই ল্যাবে যেতে আর আগ্রহ জাগে না।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গ্রন্থাগার ল্যাবে গিয়ে দেখা যায়, ৪৭ জনের ধারণক্ষমতার ল্যাবে মাত্র একজন শিক্ষার্থী কম্পিউটার ব্যবহার করছেন। একই অবস্থা দেখা গেছে আজ বুধবারও। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সহকারী গ্রন্থাগারিক গোলাম মোস্তফা জানান, পুরো গ্রন্থাগারে মোট এসি রয়েছে ২৪টি। এর মধ্যে পাঠকক্ষের ১৭টি এসি এ বছরের প্রথম থেকেই নষ্ট রয়েছে। বছরের শুরু থেকেই সেগুলো অকেজো থাকায় প্রকৌশল দপ্তরে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

গ্রন্থাগারের প্রশাসক ও সহকারী গ্রন্থাগারিকসহ কর্মকর্তাদের কক্ষে এসি সচল থাকলেও শিক্ষার্থীদের পাঠকক্ষে (রিডিং রুম) ১৫টি এসি নষ্ট হয়ে গেছে। তবে কক্ষগুলোতে ফ্যান রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গ্রন্থাগারের প্রশাসক অধ্যাপক সুভাষ চন্দ শীল বলেন, ‘ব্যবহারকারী না থাকলে আমি কী করব? ২৪টা এসির মধ্যে ১৭টা খারাপ হয়ে গেছে। তবে কখন কোনটা খারাপ হবে, তা তো বলা মুশকিল। ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশন এগুলো সংস্কারের দায়িত্ব নিয়েছে, একটু সময় লাগবে।’

সুভাষ চন্দ আরো বলেন, ‘আমি তো কিছুদিন হলো দায়িত্ব নিয়েছি। একদিনের তো কাজ না। পর্যায়ক্রমে সংস্কার করা হবে। আমি প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করেছি। ভিসি স্যার ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে তাগাদাও করেছেন, যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশল দপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী সিরাজুম মুনির বলেন, ‘গ্রন্থাগারের এসি নষ্টের বিষয়ে আমাদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এসি সংস্কারকাজের জন্য আমাদের কোনো লোক নেই। বাইরে থেকে মেকানিক ভাড়া করে এনে কাজ করতে হয়। তাই একটু সময় লাগছে।’

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এসিগুলো সংস্কার করা হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন সিরাজুম মুনির।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ‘আসলে আমি তো বেশিদিন হলো দায়িত্ব পাইনি। তাই বিষয়টা তেমন জানা নেই। গ্রন্থাগার প্রশাসক এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দিতে পারবেন।’