সাত গুণীজন পেলেন ঢাবি অ্যালামনাইয়ের সম্মাননা

Looks like you've blocked notifications!
আজ রোববার বিকেলে ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সাত গুণীজনকে সম্মাননা দেওয়া হয়। ছবি : এনটিভি

শিক্ষা, জ্ঞান-বিজ্ঞান, রাজনীতি ও সংস্কৃতিতে অনন্য ভূমিকা রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন ইমেরিটাস অধ্যাপক ও ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতিকে সোনার মেডেল দিয়ে সম্মাননা জানিয়েছে ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন।

আজ রোববার বিকেলে ঢাবির নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।

সম্মাননা পাওয়া ইমেরিটাস অধ্যাপকরা হলেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. সুলতানা সারওয়াতারা জামান, দর্শন বিভাগের ড. আবদুল মতিন, ইংরেজি বিভাগের ড. সিরাজুল ইসলাম, বাংলা বিভাগের ড. আনিসুজ্জামান, উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের ড. নাজমা চৌধুরী ও ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি বিভাগের ড. আবুল কালাম আজাদ চৌধুরী।

এ ছাড়া সম্মাননা পান ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিচারপতি মোহাম্মাদ ইব্রাহীম। সাবেক এই বিচারপতির পক্ষে সম্মাননা গ্রহণ করেন তাঁর মেয়ে জাতীয় অধ্যাপক সুফিয়া আহমেদ।

অনুষ্ঠানে সম্মাননাপ্রাপ্তদের হাতে তুলে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক ও নগদ অর্থ। এ ছাড়া পরিয়ে দেওয়া হয় উত্তরীয়। এ সময় সম্মাননাপ্রাপ্তরা তাঁদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এ কে আজাদ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, জ্ঞানের ক্ষেত্রে তাঁদের যে অবদান, সে স্বীকৃতিই দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের অবদান সবচেয়ে বেশি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘বিশ্বের অনেক দেশ আছে যে দেশগুলো বিশ্ববিদ্যালয় সৃষ্টি করেছে কিন্তু একমাত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই একটি দেশের সৃষ্টি করেছে। আজকে যাঁদের সম্মানিত করা হয়েছে, আপনারা এ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, আপনারা উদার, অসাম্প্রদায়িক। আপনাদের মধ্যে রয়েছে মানবিক গুণাবলি, যা ছিল বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।’