কুবি উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, পদত্যাগ দাবি

Looks like you've blocked notifications!
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে মানববন্ধন করে শিক্ষক সমিতি। ছবি : এনটিভি

দুর্নীতির অভিযোগ এনে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আলী আশরাফের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারাও অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষকরা।

মানববন্ধন থেকে উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

এ সময় শিক্ষক নেতারা বলেন, ৮ম জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুযায়ী সব ধরনের ডেপুটেশন ভাতা বাতিল করা হলেও উপাচার্য প্রতি মাসে নিয়মিত ১৫ হাজার ২৯৮ টাকা নেন। অবৈধভাবে উত্তোলিত এসব টাকা উপাচার্যকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেরত দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা।

বক্তারা আরো বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতির ও সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য হিসেবে গড়ে তুলেছেন উপাচার্য নিজেই। তিনি স্বৈরাচারী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছেন যা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। উপাচার্যকে তাঁর কার্যালয়ে আর প্রবেশ করতে দেবেন না বলেও হুমকি দেন শিক্ষকরা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের, সহসভাপতি শামিমুল ইসলাম, এন এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন, সাবেক সভাপতি জি এম মনিরুজ্জামান,পরিবহন কর্মচারী ইউনিয়নের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে রবিবার রাতে উপচার্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ, সরকারি অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে ফেরতসহ নানা অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে তাঁর বিচারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেয় শিক্ষক সমিতি।

রবিবার শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক মেহেদী স্বাক্ষারিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উপাচার্যের নানা অনিয়ম, বিভিন্ন সময়ে উপাচার্যপন্থী শিক্ষকদের হাতে শিক্ষক সমিতির নেতাদের লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনার বিচারসহ কয়েকটি দাবি জানানো হয়।

এদিকে,  দুদিন ধরে কার্যালয়ে আসেননি উপাচার্য মো. আলী আশরাফ। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য আলী আশরাফ বলেন, ‘তাদের (শিক্ষক সমিতি) অভিযোগ ভিত্তিহীন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাদের কাছে যদি কোনো প্রমাণাদি থাকে তাহলে তারা তা পেশ করুক বা ওপর মহলে যোগাযোগ করুক। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে তারা আমাকে নয় বরং ভিসির চেয়ারকে অপমান করছে, বিশ্ববিদ্যালয়কে ছোট করছে।’