রাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩

Looks like you've blocked notifications!

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে কমপক্ষে তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে আহত তিনজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত হোসেন, ছাত্রলীগকর্মী ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা এবং সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল আলম। তাঁদের মধ্যে হাসিবুল ও মাসুদকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় হলের সামনে আজ রোববার সকাল থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আধিপত্য ধরে রাখতেই আমীর আলী হল ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান ইমন রাতে কর্মীদের মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

শামসুজ্জামান ইমন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি হলের গেটে পুলিশের সঙ্গে ছিলাম। সৈকত ও তাঁর ছেলেদের হয়তো মেরেছে হলের বর্তমান সভাপতি সজলসহ তাঁর কর্মীরা। এ বিষয়ে আর বেশি কিছু আমি জানি না।’

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হলের ২০৫ নম্বর কক্ষে থাকতেন সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী হাসিবুল আলম। তাঁকে ওই কক্ষে তুলেছিলেন ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক শামসুজ্জামান ইমন। ঈদের পর ক্যাম্পাসে এসে শনিবার রাত ১১টার দিকে ইমনকে না জানিয়ে হাসিব ভালো কক্ষ পাওয়ায় ২১৩-তে চলে যান। এতে করে ইমন ও নাজমুল ইসলাম সজল কয়েকজন কর্মী নিয়ে হাসিবকে বেধড়ক মারধর করেন। পরে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী তাঁকে রাজশাহী মেডিকেলে নিয়ে যান।

হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈকত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হাসিবের কক্ষ পরিবর্তনের সময় আমি সেখানে ছিলাম। এ সময় ইমন ও সজল নিজের কক্ষে হাসিবকে ডেকে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু হাসিব আমাদের সঙ্গে থাকতে চায়। এতে করে তারা জোর করে হাসিবকে কক্ষ থেকে বের করে নিয়ে মারধর করে। পরে বাধা দিতে গেলে আমাকে ও মাসুদকে লাঠি ও ফুলের টব দিয়ে মারধর করে ইমন, সজলসহ কয়েকজন। এতে করে মাসুদ গুরুতর আহত হয়। তাকে রাজশাহী মেডিকেলের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘ইমন ও সজল হলে দীর্ঘদিন ধরে সিট বাণিজ্য করে আসছে। হলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরও আমাকে না জানিয়ে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইফতারির টাকা তুলেছে। ’

হল ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল ইসলাম সজল বলেন, ‘হাসিবকে তার কক্ষ থেকে সৈকত বের করে দেওয়ায় হলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সৈকতকে মারার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর তারিকুল হাসান বলেন, ‘আমি হল কর্তৃপক্ষকে বলেছি এ ব্যাপারে রিপোর্ট করতে। তবে এখনো হল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে রিপোর্ট পাইনি। পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ূন কবির বলেন, ‘হলে মারামারির ঘটনা শোনার পর রাতেই পুলিশ সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে আবারো মারামারির আশঙ্কায় হলগেটে তিন গাড়ি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’