কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের প্রতীকী অনশন

মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থায় ২০১২ সালে প্রণীত নতুন পাঠক্রম পদ্ধতি বাতিল করে আগের ‘ক্যারি অন’ পদ্ধতি পুনর্বহাল করার দাবি জানিয়েছেন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে আজ মঙ্গলবার কক্সবাজার আদালত চত্বরে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা।
পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বরাবর স্মারকলিপি দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। সেখানে তাঁরা তাঁদের চার দফা দাবি তুলে ধরেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘কোনো পেশাগত পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার পর পরবর্তী বর্ষের ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পারার প্রথাকে মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থায় ক্যারি অন বলা হয়। এ ব্যবস্থায় আমরা চারটি দাবি তুলে ধরছি। আমাদের আশা ও বিশ্বাস, এসব সমাধানে সরকার আন্তরিক হবে।’
এ সময় তাঁদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। এর পরিপ্রেক্ষিতে অনশন কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম রহিম উল্লাহ বলেন, ‘তাদের দাবির সঙ্গে আমিও একমত। দাবিগুলো বাস্তবায়নে আশা করি মন্ত্রণালয় আন্তরিক হবে।’
বাংলাদেশের মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থায় কোনো পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পরপরই পরবর্তী বর্ষে ক্লাস শুরু করার অনুমতি পাওয়ার পদ্ধতিটিই হলো ক্যারি অন। কারিকুলাম অনুযায়ী বাংলাদেশে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের জন্য তিনটি পেশাগত পরীক্ষা রয়েছে। এতদিন পর্যন্ত একটি পেশাগত পরীক্ষায় এক বিষয়ে উত্তীর্ণ না হলেও একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী পরের বর্ষে ক্লাস করার অনুমতি পেতেন এবং ছয় মাস পরে সাপ্লিমেন্টারি পরীক্ষার মাধ্যমে ওই বিষয়টির পরীক্ষা দিতে পারতেন। এতে নিজের শিক্ষাবর্ষ থেকে পিছিয়ে পড়তেন না তিনি। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী কেউ যদি কোনো পরীক্ষায় অকৃতকার্য হন, তাহলে তিনি নিজের শিক্ষাবর্ষ থেকে ছয় মাস পিছিয়ে যাবেন। এমনকি পরের বর্ষের ক্লাস বা ওয়ার্ডে অংশ নিতে পারবেন না।